বেক্সিমকোর চাপে বিকল্প উৎস থেকে সরকার টিকা কিনতে পারেনি: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ৬, ২০২১, ০৮:২২ পিএম

বেক্সিমকোর চাপে বিকল্প উৎস থেকে সরকার টিকা কিনতে পারেনি:  ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

টিকা ব্যবস্থাপনায় শুরু থেকেই সরকার উদাসীন ছিল বিধায় বেক্সিমকোর চাপের কারণে টিকার বিকল্প উৎসে যেতে পারে নাই। যদিও রাশিয়া ও চীন আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে চেয়েছিল। টিকা বিক্রি করে সরকারি দলের এক অতি ক্ষমতাসীন ব্যক্তির লাভের জন্য রাষ্ট্র নাগরিকদের জীবন হুমকির মধ্যে ফেলেছে। রবিবার (৬ জুন) সংসদ অধিবেশনে করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যসেবা খাতের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। 

স্বাস্থ্য খাতে বাস্তবায়ন কম

রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেয়া রুমিন ফারহানা বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ালেও বিগত ১০ বছরের স্বাস্থ্য সেবায় এডিপি বাস্তবায়ন এই বছরের সবচেয়ে কম। প্রথম ১০ মাসে বরাদ্দের মাত্র ২৫ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এরপর নতুন করে বরাদ্দ বাড়ানো কতটুক যৌক্তিক সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি। 

বাজেট লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ

বিএনপি দলীয় এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ৩০ হাজার কোটি টাকা কমে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে দেওয়া বাজেটের শিরোনাম ছিল ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ, ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমার’। করোনাকালে উন্নয়নের সঙ্গা ছিল জীবন এবং জীবিকা। এই দুই খাতে ভীষণভাবে লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয়েছে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট। সম্পূরক বাজেটে ১৯ টি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বৃদ্ধির তালিকা দেয়া হয়েছে। তাতে যে সকল মন্ত্রণালয় বাদ পড়েছে সে সব মন্ত্রণালয় হচ্ছে- কৃষি, সমাজ কল্যাণ,  শ্রম ও কর্মসংস্থান, খাদ্য, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসস্থান মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে কৃষিতে বরাদ্দ ছিল অপ্রতুল। এই বাজেটে আরো কমেছে। 

জনপ্রশাসনে অদক্ষতা বৃদ্ধি

‘খাদ্য শস্যের আমদানি সাম্প্রতিক অতীতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গেছে। কিছু মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বৃদ্ধি করার কথা বললেও দেখা যাচ্ছে চলতি অর্থবছরে প্রথম দশ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৪৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ালেও বিগত ১০ বছরে স্বাস্থ্য সেবায় এডিপি বাস্তবায়ন এই বছরের সবচেয়ে কম। প্রথম ১০ মাসে বরাদ্দের মাত্র ২৫ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। অথচ করোনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব ছিল স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।’

তিনি বলেন, অর্থ খরচে এতো অদক্ষতা দেখিয়েছি সেই মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানো যে কি? সেটা দেশের মানুষ ভাল জানে। বরাদ্দকৃত অর্থ খরচে স্বাস্থ্য খাতে ন্যূনতম কোন প্রতিফল দেখতে পাইনি।

Link copied!