বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন। বুধবার দুপুর একটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দারও গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ সংসদীয় আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শেখ হাসিনার সরকারের একাধিকবার কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তার সময়ই বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি হয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বামপন্থী ছাত্র রাজনীতি দিয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন মতিয়া চৌধুরী। পরে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এবং তারপর আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
বিভিন্ন গণআন্দোলন ও সংগ্রামে আগুনঝরানো বক্তব্যের জন্য তাকে অগ্নিকন্যা হিসেবে ডাকা হতো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেন।
মতিয়া চৌধুরীর জন্ম পিরোজপুরে, ১৯৪২ সালের ৩০ জুন। পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। সেখানে বেশ কয়েকবার জেল খাটেন তিনি। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলের হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং কয়েকবার কারাবরণ করেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৯৯৬, ২০০০ ও ২০১৪ সালে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি সংসদ উপনেতা হন।