মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, নির্বাচন বিলম্বিত করার অপচেষ্টায়ও হতে পারে: মির্জা ফখরুল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৪, ২০২৫, ১২:৪০ পিএম

মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, নির্বাচন বিলম্বিত করার অপচেষ্টায়ও হতে পারে: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি আসন্ন নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টায় করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার, ১৪ জুলাই রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। তার ধারণা, মিটফোর্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক কি না তা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আসন্ন নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টায় করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিটফোর্ডের মমার্ন্তিক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। তীব্র নিন্দা জানাই এ ঘটনার। বিএনপির যারা জড়িত তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যক্তির অপকর্মের সাথে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় যাদের নাম এসেছে ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে পরিবারের সাথে কথা বলে জেনেছি।’  

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিটফোর্ডের ঘটনা একটি চিহ্নিত মহল দ্বারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে সন্দেহ হচ্ছে। এই ঘটনার বিচার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানাই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আবার ফ্যাসিবাদের ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মিটফোর্ডের ঘটনাটি যে পরিকল্পিত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইন্টারনেটে একটি সুনির্দিষ্ট সময় ভিডিও ছড়ানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশের ঘটনা থেকে বোঝা যায় এটি কোনো চাদাবাজির ঘটনা না, ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা; দলের চেয়ারপারসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। যারা জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিহত করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে। তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাই। অপরাজনীতি প্রতিহত করতে সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই। এসব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো। সবাইকে সংঘাত সৃষ্টির উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Link copied!