নভেম্বর ১, ২০২৪, ০২:০৭ পিএম
জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আগামী শনিবার কাকরাইল ও আশে পাশের এলাকায় সভা,সমাবেশ,মিছিল করায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ। যার ফলে জাতীয় পার্টির সমাবেশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে জাতীয় পার্টির এই বিষয়ে আবেদন করবে জানিয়েছে দলটির উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয। ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল ২ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ, শনিবার পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬ নং ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে শুক্রবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের যে কোন মূল্যে সমাবেশ করার কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি হতাশা ব্যক্ত করে জিএম কাদের বলেন, ‘আপনি এখন দেশের অভিবাবক। আপনার চোখে সবাইকে সমান দেখা দরকার। দুঃখ হয়, আপনার চোখ সবাইকে সমান দেখছে না। দেশে একটি চক্র যা খুশি তাই করছে। তাদের কারণে দেশ আজ অস্থিতিশীল। দয়া করে দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করুন।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতা দলীয়করণ ও বৈষম্যবিরোধী যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলন করেছে তা সফল হয়নি। দেশর প্রতিটি স্তরে বৈষম্য ও দলীয়করণ চলছে। কোনো কিছুই দলীয়মুক্ত করতে পারেনি সরকার। বরং আগের তুলনায় বৈষম্য ও দলীয়করণ হচ্ছে বেশি। দেশ নিয়ে আজ আমরা শঙ্কায় আছি। দেশ আবার বৈষম্যের দিকে এগোচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। সে ব্যপারে আমরা অভিযোগ করেছি। বিচার পাব কি না জানি না। করেন দেশের আইন নিজস্ব গতিতে চলছে না। হাজার হাজার মিথ্যা মামলা হচ্ছে। কে কার বিরুদ্ধে মামলা করছে। মামলার বাদীও আসামিদের চেনে না, জানে না।’