এপ্রিল ৯, ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার বিষয়ে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভায় জানানো হয়েছে। কিন্তু বেসিক ব্যাংকের কর্মীরা চান ভিন্ন কিছু। তারা চান, অন্য কোনো সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে। আর তাই সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে আপত্তি জানিয়ে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বেসিক ব্যাংকের কর্মীরা। আর এতে তারা দাবি তুলেছেন, বেসরকারি নয়, সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হোক।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভায় বিষয়টি জানানো হলে বেসিক ব্যাংকের কর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বিষয়টি খোলাসা করে না বললেও এই প্রস্তাবে আপত্তি তুলেছেন বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: সিটি ব্যাংকের সঙ্গে জোড়া লাগবে বেসিক ব্যাংকের?
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। ক্ষুদ্র শিল্প বিকাশে অর্থায়নের বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংক দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে দেশবাসীকে সেবা দিয়ে গেছে।
বেসিক ব্যাংকের কর্মীরা জানান, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরানো ও আর্থিক খাতকে প্রভূত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় ব্যাংক একীভূতকরণের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। সেক্ষেত্রে বেসিক ব্যাংককে মূল ধারার অন্য একটি সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হলে সব বিবেচনায় তা হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে আমাদের অর্থাৎ ব্যাংকের সব কর্মীর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাও দূর হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর সিটি ও বেসিক ব্যাংকের পর্ষদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। দুই ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। ব্যাংক দুটি একীভূত হলেও আগামী ৩ বছর পৃথক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করবে।