মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবি তুলেছে ছাত্রলীগ। এক বিবৃতিতে মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালো ছায়া থেকে দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠকে মুক্ত করার তাগিদ অনুভব করে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এই দাবি তুলেছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনটি। শনিবার (৩০ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামীকাল রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে বুয়েট প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায্য’, ‘অসাংবিধানিক’, ‘মৌলিক অধিকার পরিপন্থী’ ও ‘সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও এই রাষ্ট্রে সাধারণের শিক্ষার অধিকার একটি গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিয়েছে এদেশের ছাত্রসমাজ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাম্প্রতিককালে সংবিধানসম্মত ছাত্র রাজনীতি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে যা ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান সংবিধানের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। বুয়েট অধ্যাদেশ, ১৯৬১-এ অনুযায়ী বুয়েট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই সর্বাবস্থায় এই রাষ্ট্রের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের দ্বারা এটি পরিচালিত হতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই আইনের কোথাও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ক্ষমতা বুয়েটকে দেওয়া না হলেও বুয়েট প্রশাসন ‘বেআইনি’ ও ‘অসাংবিধানিকভাবে’ তা বাস্তবায়ন করছে। মূলধারার প্রকাশ্য ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুয়েটকে দেশ ও বিশ্ব মানবতাবিরোধী নিষিদ্ধ, অন্ধকার জগতের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছে।
বলা হয়, বুয়েট প্রশাসন ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের মাধ্যমে তার সংগঠন করার সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৮) প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করেছে। এটি একই সঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ৩১, ৩২, ৩৬, ৩৭ ও ৩৯- এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।