জানুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে প্রবেশের পর নতুন-পুরাতন মুখ নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। মোট ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট কেবিনেটে প্রধানমন্ত্রী বাদে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন ২৫ জন, আর প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন ১১ জন।
নতুন এই মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন মো. ফরিদুল হক খান। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ছাত্রলীগের আদর্শিক কর্মী হিসেবে ৬৯ এর গণআন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
লেখাপড়া শেষে তিনি ব্যবসার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল
পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ইসলামপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর দলীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে ইসলামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি হন।
মেসার্স মো. ফরিদুল হক খান-এর স্বত্বাধিকারী ফরিদুল হক খান বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব এবং ঢাকাস্থ জামালপুর জেলা সমিতির আজীবন সদস্য। ২০১৪ সাল থেকে জামালপুর জিলবাংলা সুগার মিলের আখচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৬ সাল হতে বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষী কল্যাণ ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৫৬ সালের ২ জানুয়ারি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের উত্তর সিরাজাবাদ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদুল হক খান। তাঁর পিতা মরহুম হবিবর রহমান খান এবং মাতা মরহুমা মোছাম্মৎ ফাতেমা খানম।
ফরিদুল হক খানের পিতা মরহুম হবিবর রহমান খান ১৯৪৮ সাল হতে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৩ বছরে চার বার পলবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তান আমলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা জুরি বোর্ডে সম্মানিত সদস্য ছিলেন।
ফরিদুল হক খান-এর স্ত্রী আফরোজা হক একজন গৃহিণী । দুই কন্যা এবং এক পুত্র সন্তান রয়েছে তাদের।