এপ্রিল ১, ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
‘বুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী কেউই ছাত্র রাজনীতির মতো অকল্যাণকর কিছু ক্যাম্পাসে চায়নি। দেশের আদালতের সিদ্ধান্তে সম্মান জানিয়ে শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া অনুসারে শিক্ষক ও ভিসি আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’
সোমবার (১ এপ্রিল) হাইকোর্টের আদেশের পর বুয়েট শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’র কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান ও আস্থা রাখার বিষয়টি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রাখি।’
তারা বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আসা ও শোডাউনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালার লঙ্ঘন বলে মনে করে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পর ৯ অক্টোবর বেলা সাড়ে তিনটায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে, ‘অনেক প্রতিষ্ঠানেই তো সংগঠন করা নিষিদ্ধ আছে। বুয়েট যদি মনে করে তারা সেটা নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এটা তাদের ওপর’- এরই ফলস্বরূপ, বুয়েটের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট প্রশাসন সব ধরনের সাংগঠনিক রাজনীতি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করেছিল।
শিক্ষার্থীরা বুয়েট প্রশাসনের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত বিচার বিভাগে যথাযথভাবে তুলে ধরার দাবি তুলেছেন। তারা জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকার আমাদের যে দাবি তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল। যেই ছাত্ররাজনীতি র্যাগিং কালচারকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ খুলে দেয়। যার বলি হতে হয় নিরীহ ছাত্রদেরকে। তা আমাদের জন্য ভালো কিছু কখনোই বয়ে আনেনি, আনবেও না। এর চরমতম মূল্য হিসেবে আমরা আমাদের কেমিকৌশল ‘৯৯’র সাবেকুন্নাহার সনি আপু, যন্ত্র কৌশল ‘০৯’র আরিফ রায়হান দ্বীপ ভাই সর্বশেষ তড়িৎকৌশল ‘১৭’র আবরার ফাহাদ ভাইকে হারিয়েছি।
শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ছাত্র রাজনীতিবিহীন বুয়েটের পরিবেশ ছিল সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারি।
তারা আরও বলেন, দেশ-বিদেশের নানাপ্রান্ত হতে আমাদের বুয়েটের অ্যালামনাইরাও এর মধ্যে আমাদের ক্যাম্পাস ছাত্র রাজনীতিমুক্ত রাখার মতামতের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে একাত্মতা পোষণ করছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজ নিজ জায়গা থেকে তারা আমাদের পক্ষে তাদের অবস্থান প্রকাশ করছেন।