ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
চলতি বছর পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি হামলায় হতাহত হয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে ইউপিডিএফের সদস্য। এ বছর ১১ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউপিডিএফ। খবর দৈনিক সমকাল।
ইউপিডিএফ জানায়, ২৪ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে রবি কুমার চাকমা ও শান্ত চাকমা ওরফে বিমল নিহত হন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে নিপন চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সদস্যরা। ১ জুন চট্টগ্রামে ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের চাইল্যাচর গ্রামে রেদাসে মারমা নামে ইউপিডিএফের সাবেক কর্মীকে হত্যা করা হয়। ৮ জুন খাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রতিপক্ষের সদস্যরা বরুণ বিকাশ চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ সমর্থককে হত্যা করে। ২৭ জুলাই খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জুনেল চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা করা হয়।
২৬ অক্টোবর পানছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র হামলায় নিশান্ত চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ সদস্য নিহত হন। ১৪ অক্টোবর খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা নামে এক ইউপিডিএফ সমর্থক নিহত হয়। ৩০ অক্টোবর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় মন্যা চাকমা (সিজন), খরকসেন ত্রিপুরা (শাসন) ও পরান্টু চাকমা (জয়েন) নামে তিন ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হয়। ১০ নভেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সংগঠক ও সাবেক পিসিপি নেতা মিটন চাকমা নিহত হন।
পার্বত্য চুক্তিকে বিরোধিতা করে পূর্ণ শায়ত্বশাসনের দাবিতে ১৯৯৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠন আত্মপ্রকাশের পর থেকে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দল জেএসএসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। সংগঠনটির গঠনের পর এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৭৩ জন। ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচার বিভাগ নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। এসব হত্যার অধিকাংশ জেএসএস মূল দল এবং ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করছে ইউপিডিএফ।