চলতি সপ্তাহেই বিল্ড কনফারেন্সে কপাইলট+ পিসি চালুর ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। যা উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সক্ষমতার সঙ্গে সমন্বিত কম্পিউটারে নতুন একটি মাত্রা যোগ করবে।
প্রতিদিনের কম্পিউটিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি আনতে এই ঘোষণা আগে থেকেই মাইক্রোসফটের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়কেই আলোকপাত করেছে।
আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটস সফটওয়্যার ইক্যুইটি বিশ্লেষক ঋষি জালুরিয়া ও ইউএস এআই অ্যান্ড সফটওয়্যার রিসার্চের ম্যাকুয়েরি প্রধান ফ্রেডরিক হ্যাভমেয়ার মার্কেট ডমিনেশনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ঋষি জালুরিয়া এই এআই পিসিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি মনে করি এসব এআই পিসির প্রবর্তন সত্যিই বড় একটি গেম চেঞ্জার হতে চলেছে। প্রকৃত অর্থে সেখানকার সব জ্ঞান কর্মীর হাতে জেনারেটিভ এআই পেতে সহায়তা করে।”
জালুরিয়া উল্লেখ করেছেন যে, এসব পিসি ব্যবহারকারীদের স্থানীয়ভাবে ছোট ও মাঝারি ভাষার এসব মডেল ব্যবহার করতে সক্ষম করবে। এভাবে এআইয়ের সাধারণ ব্যবহারের প্রসার ঘটাবে।
ফ্রেডারিক হ্যাভমেয়ার ভোক্তাদের কাছে বড় ভাষার মডেলের আবেদনের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি বলেন, “এটা আমাদের কাছে খুব স্পষ্ট যে বড় ভাষার মডেলের জেনারেটিভ এআই মডেলের প্রযুক্তি এমন কিছু যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তাদের কাছে উপযুক্ত বলে মনে হবে। চ্যাটজিপিটি করেছে ও আমি মনে করি যে সঠিক ইন্টারফেস এবং সঠিক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমরা সময়ের সঙ্গে এটা খুঁজে পাবো।”
এসব সংস্থা উদ্ভাবন ও দক্ষতার জন্য প্রচেষ্টা করায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই সংহতকরণ প্রচলিত হয়ে উঠছে। জালুরিয়া এই প্রবণতা উপস্থাপন করে বলেন, “৮০ শতাংশ সিআইও আমাদের বলছে যে তারা হয় এখন উৎপাদনে আছে বা আগামী ১২ মাসের মধ্যে এআইয়ের সঙ্গে উৎপাদনে আসার আশা করছে, তাই ক্ষুধা বাস্তব, ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাস্তব।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে আরও বাড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।