কোকাকোলা বাংলাদেশের একটি বিজ্ঞাপনে বয়কট যেন আরও তীব্রতর হয়েছে। প্রচারণার বদলে কোকাকোলার বয়কটের পাশাপাশি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-খ্যাত শরাফ আহমেদ জীবন, শিমুল শর্মা ও আব্দুল্লাহ আল সেন্টুকেও বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে নেটিজেনরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে অনেকে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এদিকে বয়কটের এই নেতিবাচক প্রভাবে স্বয়ং কোকাকোলা তাদের ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলার জেরে বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলি পণ্য বয়কট চলছে। কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোমল পানীয় কোকাকোলা বয়কটের ডাক ওঠে। বয়কটের মুখে বিক্রি কমে যায় এক সময়ের জনপ্রিয় পানীয় কোকাকোলার। তবে সময়ের সঙ্গে যখন মানুষ ভুলতে বসেছে বয়কটের কথা ঠিক তখনই কোকাকোলা বাংলাদেশের একটি বিজ্ঞাপন যেন ফের উসকে দিয়েছে সবকিছু।
আরও পড়ুন: বিতর্কের মুখে ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপনচিত্র সরাল কোকাকোলা
বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা ও বিজ্ঞাপন সংস্থা সম্পর্কে বিজ্ঞাপনে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিনয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনটি নির্মাণের পেছনেও আছেন শরাফ আহমেদ জীবন।
বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়, কোককে সবাই যে দেশের পণ্য মনে করছে, প্রকৃত অর্থে কোকাকোলা সেই দেশের পণ্য নয়। সঠিক তথ্য না জেনেই মানুষ কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিয়েছে। ১৯০টি দেশের মানুষ কোক খায়। এমনকি ফিলিস্তিনে কোকাকোলার ফ্যাক্টরি আছে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞাপনটিতে।
আরও পড়ুন: কোকাকোলার গল্প
এছাড়া বিজ্ঞাপনটির একটি চরিত্রের নাম সোলেমানকে তুর্কি খলিফা ‘সুলতান সোলেমান’ বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন নেটিজেনরা।
বিজ্ঞাপনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে আসার পর থেকে সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। তাদের বয়কটের হুমকি দিয়েছেন নেটিজেনরা।
শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, “এটা প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের অংশ মাত্র। তিনি ইসরাইলের পক্ষে নন।”
এদিকে শিমুল শর্মা ফেসবুক পোস্টে নিজেকে এখনও বড় অভিনেতা না হওয়ার কথা বলেন। সেই সঙ্গে ক্ষমাও চান। তবে তারা দুজনেই এড়িয়ে যান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যু।