জয়া আহসানের অভিনয় দক্ষতা ও রূপের স্নিগ্ধতায় মন মাতেনি, এমন দর্শক খুব কমই পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। নিজের অনবদ্যতার স্বাক্ষর তাই তো আবারও রেখেছেন। একই দিনে জয়ার ২টি ছবি মুক্তি পেয়েছে, তাও দুটি ভিন্ন ভৌগলিক সীমানায়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ছবি ‘ভূতপরী’, একই দিনে বাংলাদেশে ‘পেয়ারার সুবাস’।
এক দশকের বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে জয়া আহসানকে। এই সময় টালিউডের চেয়ে ঢালিউডে তুলনামূলক কমই দেখা যায় তাঁকে।
বাংলাদেশে নূরুল আলম আতিকের সিনেমা ‘পেয়ায়ার সুবাস’, অন্যদিকে সৌকর্য ঘোষালের ‘ভূতপরী’ মুক্তি পেয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সিনেমা হলে।
ছবি দুইটির কিছু কিছু দিকে মিল আছে। দুই সিনেমাতেই মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন জয়া আহসান। একই দিনে মুক্তি পাওয়া ছাড়া ‘পেয়ারার সুবাস’ ও ‘ভূতপরী’র মধ্যে আরও কিছু মিল আছে।
দুটি সিনেমারই শুটিং হয় বেশ কয়েক বছর আগে। ‘পেয়ারার সুবাস’ ২০১৬ সালে শুটিং শুরু করে মুক্তি পাচ্ছে ২০২৪ সালে। অন্যদিকে সৌকর্য ঘোষালের ভূতপরী সিনেমাটির শুটিং হয় ২০১৯ সালে।
নির্মাণের এত বছর পর মুক্তি পাওয়ায় সিনেমার আবেদন কমে যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জয়া বলেছেন, সিনেমার বিষয়বস্তু সমসাময়িক হলে এটা কোনো সমস্যা নয়।
ভূতপরী ছবিটি দেশ ভাগের সময় বনলতার নামের এক নারীর, রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ নিয়ে। বনলতা চরিত্রে জয়া সেখানে ভূত হয়েও একজন শিশু চরিত্রের সাথে যোগাযোগ রাখে ও নিজের সাথে ঘটা ঘটনার বর্ণনা করতে থাকে।
এদিকে ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনামায় পেয়ারা চরিত্রে জয়াকে দেখা গেছে এক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে। পেয়ারার বিবাহিত জীবনে স্বামীর সঙ্গে ভালবাসাহীন সম্পর্ক নিয়ে টিকে থাকার গল্প শেষে এসে দর্শকদের পৌঁছে দিবে রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতার দ্বার প্রান্তে।
‘পেয়ারার সুবাস’ সিরিয়াস সিনেমা। মুক্তির আগে পরিচালক বলেছেন, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিটি প্রাপ্তমনস্কদেরই দেখা উচিত।
‘ডুবসাঁতার’ থেকে ‘বিকল পাখির গান’—এর আগে নূরুল আলম আতিক ও জয়া আহসান নির্মাতা–অভিনেত্রী জুটি যখন একসঙ্গে হয়েছেন, তখনই পর্দায় জাদু তৈরি হয়েছে। এবারও তেমনটিই হচ্ছে। শুধু ‘পেয়ারার সুবাস’ মুক্তির আগে ছবির অভিনেতা আহমেদ রুবেলের মৃত্যু তৈরি করেছে বেদনাদায়ক আবহ।
জয়া আহসান, আহমেদ রুবেল ছাড়া এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, সুষমা সরকারসহ আরও অনেকেই। আলফা-আই প্রযোজিত এ সিনেমায় সহপ্রযোজক হিসেবে রয়েছে চরকি।
অন্যদিকে ‘ভূতপরী’ সিনেমায় মাখনচোর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। সিনেমাটি একটি ভূতের বায়োগ্রাফি। এই ছবির একটি আলোচিত সংলাপ “মানুষ মরে ভূত হবে, ভূত মরে কি পরী হয়?”
এক দিনে দুই সিনেমা মুক্তির আগে আক্ষরিক অর্থেই ‘দৌড়ের ওপর’ ছিলেন বাংলাদেশি লাস্যময়ী অভিনেত্রী।