ক্যান্সারের কাছে হার মেনেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক পেস বোলিং কোচ ও জিম্বাবুয়ের সাবেক তারকা ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক। এমন সংবাদই ছড়িয়ে পড়েছিল বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই জানা যায় এই খবরটি মিথ্যা। এখনও বেঁচে আছেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আর বেঁচে থাকার সত্যতার দাবি করেছেন স্ট্রিকের সাবেক সতীর্থ ও সাবেক জিম্বাবুইয়ান পেসার হেনরি ওলাঙ্গা।
সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ এই সাবেক ক্রিকেটার লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর গুজবটি ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। আমি শুধু তাঁর কাছ থেকে শুনেছি। থার্ড আম্পায়ার তাঁকে ফেরত ডেকেছেন। তিনি জীবন্ত একজন মানুষ।’
ওলোঙ্গার শেয়ার করা চ্যাটের স্ক্রিনশটে দেখা যায়, স্ট্রিক নিজেই ওলোঙ্গাকে বলছেন, “আমি ভালোভাবেই জীবিত আছি… রান আউটটি ঘুরিয়ে দাও, বন্ধু”। জবাবে ওলোঙ্গা লিখেছেন, “হা হা, শুনে খুবই খুশি হলাম। ব্যাপারটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে গেছে। তুমি একরাতের মধ্যে মারা গিয়েছিল ভাই।”
গত মে মাসে কোলন ও লিভারের ক্যান্সার ধরা পড়ে বাংলাদেশ দলের এই সাবেক পেস বোলিং কোচের।ক্যান্সার পৌঁছে গিয়েছিল চতুর্থ স্তরে। তখন থেকেই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে স্ট্রিক।
হঠাৎই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হতে শুরু হয় হিট স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর। বেশ কিছু জিম্বাবুয়ান খেলোয়াড়ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করেন।
জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়ক ছিলেন স্ট্রিক। তাঁর নেতৃত্বে ২১টি টেস্ট ও ৬৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে জিম্বাবুয়ে। ২০০৫ সালে দেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি।
দেশের হয়ে ৬৫টি টেস্ট খেলেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলার স্ট্রিক। খেলেছেন ১৮৯টি ওয়ানডেও। টেস্টে ২১৬টি উইকেটের পাশাপাশি করেছেন ১৯৯০ রান। আর ওয়ানডে সংস্করণে দুই হাজার ৯৪৩ রানের পাশাপাশি শিকার করেছেন ২৩৯ উইকেট।
পেশাদার ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচিং পেশায় যোগ দেন স্ট্রিক। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের পেস বোলিং কোচ ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৪ সাল থেকে দুই বছর টাইগারদের পেস বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর ব্যাঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির কোচ হন তিনি।
তবে ২০২১ সালে আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী বিধির কয়েকটি ধারা ভঙ্গের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন স্ট্রিক। যদিও সেই অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করে এসেছেন তিনি।