বাংলাদেশের পেসার এবাদত হোসেনের স্যালুট যে ব্যাটসম্যানই পেয়েছে তারা আর শতরান পাচ্ছেন না! এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কম ব্যঙ্গ হচ্ছে না। যদিও প্রতিটি উইকেট প্রাপ্তির পরই এবাদত এমনটি করেন। বিরাট কোহলিকেও স্যালুট দিয়েছিলেন। তিনি এখনও সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না।
স্বপ্ন দেখিয়েও গতকাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৭১ নম্বর সেঞ্চুরি মরীচিকার মতো হারিয়ে গেল। তবে তার পরেও সাহস, সংযম আর অটল প্রতিজ্ঞায় সোনার চেয়েও দামি ইনিংস উপহার দিলেন বিরাট কোহলি। আক্ষেপ একটাই, উল্টোদিকে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তের ফায়দাই নেওয়া গেল না। তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন মাত্র ২২৩ রানে দাঁড়ি পড়ল ভারতের প্রথম ইনিংসে। যার মধ্যে একা বিরাটেরই ৭৯! দক্ষিণ আফ্রিকা কেপটাউনে তৃতীয় টেস্টের প্রথমদিন শেষে ১ উইকেটে ১৭ রান তুলেছে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে ইডেনে এসেছিল কোহলির শেষ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। গোলাপি বলের টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেই শতরানের পর কেটে গিয়েছে দু’বছরেরও বেশি। তাঁর ব্যাটে আর বড় রান আসেনি। ক্রমশ হারিয়ে গিয়েছিল উজ্জ্বলতা। মেয়ের প্রথম জন্মবার্ষিকীতে, কেরিয়ারের ৯৯তম টেস্টে তারই পুনরাগমন ঘটল নিউল্যান্ডসে। তিন অঙ্কের রানে পৌঁছনো যায়নি ঠিকই, তবু ২০১ বলের এই ইনিংস জুড়ে হার-না-মানা জেদের পতাকা উড়িয়েছেন কোহলি। গত দু’বছরে এই প্রথমবার ৭৫ রান টপকানোর পর শতরানও দেখাচ্ছিল নিশ্চিত। কিন্তু, অন্যপ্রান্তের টেলএন্ডারকে আগলে রেখে দ্রুত রান তোলার তাগিদেই কাগিসো রাবাডার ডেলিভারিতে দিলেন খোঁচা। থামলেন একশো থেকে ২১ রানের দূরে। তবে এক ডজন বাউন্ডারি ও একটি ছয়ে সাজানো এই ইনিংস হয়ে থাকল স্মরণীয়।
এবাদত সম্প্রতি দারুণ একটি সিরিজ খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। সেখানে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তার নৈপুন্যে বাংলাদেশ প্রথম টেস্টটি জেতে। যে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তার ৬ উইকেট ছিল। আর ম্যাচে ৭ উইকেট।
কোহলি ছাড়া আর সবাইকে এখন প্রমাণ করতে হবে যে স্যালুট দিলেই সেঞ্চুরি বন্ধ হয়ে যায় না!