ভারতের যুবাদের পঞ্চম শিরোপার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২, ০২:০৪ পিএম

ভারতের যুবাদের পঞ্চম শিরোপার

 

ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চমবার যুব বিশ্বকাপ জেতার কৃতিত্ব দেখাল ভারত। টানা তিনবার ফাইনালে উঠে দু’বার চ্যাম্পিয়ন ভারত। শেষবার ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। তার আগে ২০০০, ২০০৮, ২০১২ সালের যুব বিশ্বকাপে ভারত সেরার মুকুট পরেছে। আর গত আসরে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতকে হারিয়ে। 

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৪৪.৫ ওভারে করে ১৮৯ রান। জবাবে ভারত ৪৭.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান তুলে নেয়। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই অঙ্গক্রিশকে (০) আউট  করে ধাক্কা দেন বয়ডেন। সেই বিপর্যয় সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন হারনুর সিং ও শাইক রশিদ। ১৮তম ওভারে হারনুরকে (২১) ফেরান অ্যাসপিনওয়াল। রশিদের অর্ধশতরান আসে ৮৪ বলে। তারপরেই ভারতের সহ-অধিনায়ক আউট হন সেলসের বলে। এক ওভারে ব্যবধানে অধিনায়ক যশ ধুলকেও (১৭) তুলে নেন সেলস। তারপর পঞ্চম উইকেটের জুটিতে নিশান্ত সিন্ধু ও রাজ বাওয়া ভরসা দিলেও ৪৩ ওভারে রাজকে (৩৫) আউট করেন বয়ডেন।  অ্যাসপিনওয়ালের বলে রেহান দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে ফেরান কৌশল টাম্বেকে (১)।  চাপের মুখে নিশান্ত সিন্ধুর ৫৪ বলে ৫০ রান ভারতকে জয়ের পথ দেখায়। শেষলগ্নে দীনেশ বানার পরপর দু’টি ওভার বাউন্ডারির দৌলতে জয় নিশ্চিত হয়। 

জেমস রিউ ৯৫ রান না করলে অনেক আগেই থেমে যাওয়ার কথা ইংল্যান্ডের। ভারতীয় বোলিংয়ে বড় অবদান রয়েছে রাজ বাওয়া (৫-৩১) ও রবি কুমারের (৪-৩৪)। ক্রিকেট বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে পাঁচবার ট্রফি জেতার লক্ষ্যে এদিন শুরু থেকেই মরিয়া ছিল টিম ইন্ডিয়া। এমনিতে ইংল্যান্ড বনাম ভারত বাইশ গজে মুখোমুখি হওয়া মানেই অবধারিতভাবে এসে পড়ে ‘লগান’ সিনেমার আবহ। যাতে ফুটে উঠেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে হারানোর গর্ব। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় হয়তো তাই বাড়তি উদ্দীপ্ত দেখিয়েছে নিশান্ত-রশিদদের।

১৭ ওভারের মধ্যে ৬১ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় ইংল্যান্ডের। ইনিংসের মোড় ঘোরান জেমস রিউ। তাঁকে আউট করেন  বাংলার রবি কুমার। এদিন ভারতীয় বোলিংয়ের অবিসংবাদিত নায়ক রাজ বাওয়া। এদিন তাঁর পেস বোলিংয়ের সামনে কাটা কলাগাছের মতো নুইয়ে পড়লেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। রাজকে যোগ্য সঙ্গত করেন বাঁহাতি পেসার রবি কুমার। বিপক্ষ ইনিংসে প্রথম ধাক্কা তাঁরই। দ্বিতীয় ওভারে তিনি এলবিডব্লু করেন জেকব বেঠেলকে (২)। চতুর্থ ওভারে তাঁর বল ব্যাটে লাগিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক টম প্রেস্ট (০)।এরপর ওপেনার জর্জ টমাসকে (২৭) ফেরান রাজ বাওয়া। তাঁর ম্যাজিকের সেই শুরু। ১০.১ ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় তাদের। ক্রমশ ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারে ধস নামান হিমাচল প্রদেশের অলরাউন্ডার। 

Link copied!