বেটা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ও ৭৮ রানে হার ও ১-০ ব্যবধানে সিরিজ পরাজয়ের পর বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শনিবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, "আমি আর টেস্ট ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করতে চাই না।"
তিনি জানান, এ সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত নয়, বরং দলের মঙ্গল ভেবেই নেওয়া। “আমি মনে করি, এটা দলের জন্য ভালো হবে। আমি ড্রেসিংরুমের অংশ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে আছি। তিন ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক থাকাটা যুক্তিসঙ্গত নয়। বোর্ড কী ভাববে, জানি না। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি চাই না কেউ মনে করুক, এটা আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত বা হতাশা থেকে এসেছে,” বলেন শান্ত।
শান্ত জানান, কিছুদিন আগেই তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগকে সিদ্ধান্তটি জানিয়েছেন। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব হারিয়ে দেন তিনি; ওই দায়িত্বে আনা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের আগে টেস্ট অধিনায়কত্ব পান শান্ত। তার অধীনে বাংলাদেশ ১৪টি টেস্ট খেলেছে, যার মধ্যে ৪টি জয়, ৯টি পরাজয় এবং একটি ড্র। পাকিস্তান সফরে ২০২৪ সালের আগস্টে টানা দুটি টেস্ট জয় ছিল তার অধিনায়কত্বের অন্যতম স্মরণীয় সাফল্য।
অধিনায়ক হিসেবে শান্ত নিজেও ব্যাট হাতে ছিলেন ছন্দে। নেতৃত্বে থাকাকালীন তার ব্যাটিং গড় ছিল ৩৬.২৪, যেখানে অধিনায়ক না থাকলে তার গড় ২৯.৮৩। অধীনস্থ চারটি জয়ে শান্তর গড় ছিল ৩৭.১৬।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন টেস্ট দলের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই দেখার বিষয়। তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক রাখার বর্তমান কাঠামো বদলানো হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত আসছে দিনগুলোতে স্পষ্ট হবে।
