ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৪:৪৩ পিএম
চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩। লেখকদের উৎসাহ দিতে বই ও লেখক পরিচিতির আয়োজন করেছে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ। চলবে পুরো মেলার সময়টি জুড়ে।
এবারের বই মেলায় এসেছে আহনাফ তাহমিদের সাসপেন্স থ্রিলার ‘দ্য চেইন’ বইটি। এটি অ্যাড্রিয়ান ম্যাককিনটির ‘দ্য চেইন’ বইয়ের অনুবাদ। বইটির প্রচ্ছদ তৈরি করেছেন আদনান আহমেদ রিজন। বইটি প্রকাশ করছে গ্রন্থরাজ্য প্রকাশনী। বইমেলার ৪৩৪ নাম্বার স্টলে গেলেই পাবেন বইটি। প্রচ্ছদমূল্য ৫৮০ টাকা।
চাঁদপুরের ছেলে আহনাফ বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোতে শর্টফিল্মের চিত্রনাট্য তৈরি করে পেয়েছেন নানা পুরস্কার ও সম্মাননা। বিতর্ক ও মূকাভিনয়ও ভালোবাসেন তিনি।
নিতান্তই শখের বশে লেখালেখিতে আসলেও ধীরে ধীরে ভালোবেসে ফেলেছেন। ভবিষ্যতে নেশা এবং পেশা- দুই হিসেবেই লেখালেখি নিয়েই থাকতে চান এই থ্রিলারপ্রেমী লেখক।
ছোটগল্প পড়া ও লেখার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে আহনাফ তাহমিদের।
অনুবাদের পাশাপাশি তাঁর মৌলিক বই আরবান ফ্যান্টাসি থ্রিলার ‘আলাদিন’ও পাঠকদের মন জয় করেছে। শীঘ্রই আসছে তাঁর দ্বিতীয় মৌলিক ‘অদ্ভুত’।
আহনাফের অনুবাদ করা বইগুলো হলো- এলিফ্যান্টস ক্যান রিমেম্বার, দ্য বাস্টার্ড অফ ইস্তানবুল, দ্য আর্কিটেক্ট’স এপ্রেন্টিস, ১০ মিনিটস ৩৮ সেকেন্ডস ইন দিস স্ট্রেঞ্জ ওয়ার্ল্ড, সিক্রেটস অফ মেন্টাল ম্যাথ, ক্যারি মোরা, মহারাণা প্রতাপ, ফুল মি ওয়ান্স, দ্য গেস্ট লিস্ট, থার্সডে কার্ডার ক্লাব, দ্য আইল্যান্ড অফ মিসিং ট্রিজ। এছাড়াও বিভিন্ন সংকলনে তাঁর একাধিক ছোট গল্প রয়েছে- নিশুতি ১, নিশুতি ২, শুধুই গল্প সংকলন ৩, ৪।
আহনাফ তাহমিদের পছন্দের লেখকদের তালিকায় আছেন- হুমায়ূন আহমেদ, সত্যজিৎ রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, কাজী আনোয়ার হোসেন, মতি নন্দী, তারাপদ রায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল জহির, ড্যান ব্রাউন, এলিফ শাফাক প্রমুখ।
নিজেকে নিয়ে আহনাফ তাহমিদ বলেন, ‘জীবনে একটা কথা মেনে চলতে পছন্দ করি। পছন্দের এনিমে চরিত্র কুরোকো টেটসুয়ার মুখেও শুনেছি অনেকবার। তা হচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না হাল ছেড়ে দেয়া হয়, হেরে যাবার সম্ভাবনা থাকে শূন্যের কোঠায়...’
‘দ্য চেইন’ বইটির কাহিনী সংক্ষেপ-
প্রতিদিনকার মতো আজও মায়ের দায়িত্ব পালন করতে ঘর থেকে বেরিয়েছে র্যাচেল ক্লেইন। স্কুলগামী মেয়েকে বাসস্টপে ছেড়ে নিজের কাজে যাবে। কিন্তু কে জানতো একটা ফোনকল ওর জীবনটাকে তছনছ করে দিতে যাচ্ছে?
অপরিচিতা এক নারী ওকে কল করে জানালো, কাইলিকে সে গাড়ির পেছনের সিটে হাতমুখ বেঁধে ফেলে রেখেছে। র্যাচেল তার মেয়েকে ফেরত পাবে, যদি নির্দেশগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। মুক্তিপণ দিতে হবে কিছু, এরপর আরেকটা বাচ্চাকে অপহরণ করতে হবে।
এটা কোনো সাধারণ কিডন্যাপিং না। যে কাইলিকে অপহরণ করেছে, সে নিজেও একজন মা। র্যাচেল যদি তার কথামতো কাজ না করে, তার অপহৃত ছেলেও মারা যাবে।
না চাইতেও একটা ভয়ঙ্কর শেকলের অংশ হয়ে গেলো র্যাচেল ক্লেইন।
নিয়মটা সোজাই: টাকা খুঁজে আনো, নিজের শিকারকে বের করো, এরপর এমন একটা কাজ করো, যা চব্বিশ ঘণ্টা আগেও করার কথা ভাবতে পারতে না।
আড়ালে যে কলকাঠি নাড়ছে, সে জানে বাবা-মায়েরা সন্তানকে বাঁচাতে নরকের দুয়ার পর্যন্ত যাবে।
তবে না, এতেও তাদের নিস্তার নেই।
মাত্র এই খেলাটা শুরু হলো...