ঈদে পর্যটকদের একটা বড় অংশই যাচ্ছেন সিলেটে

বিনোদন ডেস্ক

মে ১, ২০২২, ০৪:২৫ পিএম

ঈদে পর্যটকদের একটা বড় অংশই যাচ্ছেন সিলেটে

ঈদকে সামনে রেখে এবার সিলেটমুখী হচ্ছেন পর্যটকরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের এক অপূর্ব লিলাভূমি সিলেট। সিলেটের জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল ও পাংতুমাই জলপ্রপাত বরাবরই পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণস্পট। এবারের ঈদকে সামনে রেখে এরইমধ্যে সিলেটের হোটেল-মোটেল রিসোর্টের ৫০ শতাংশের বেশি অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। গত দুই বছরে বড় লোকসান গুনতে হয়েছে সিলেটের পর্যটন ব্যবসায়ীদের। এবার  সাফল্যের মুখ দেখতে পাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরাও।  

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে, এমনটা প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। এর আভাসও মিলছে সিলেটের হোটেলগুলোর বুকিং খাতায়। কয়েকটি হোটেলে অগ্রিম বুকিং ৮০ শতাংশও ছাড়িয়ে গেছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলোও নানা প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। 

সিলেটের বিছানাকান্দি

নগরের আম্বরখানা এলাকার ব্রিটানিয়া হোটেলের ব্যবস্থাপক (বিপণন) কাওসার খান বলেন, ‘এবার ঈদে সিলেটে প্রচুর পর্যটক আসবেন মনে হচ্ছে। আমাদের হোটেলে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। অনেকে যোগাযোগও করছেন বুকিংয়ের জন্য। যাঁরা অগ্রিম বুক করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই চাকরিজীবী। ’

পর্যটকদের কাছে সিলেটে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠা সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় এত দিন রাতযাপনের সুবিধা ছিল না। গত ডিসেম্বরে সাদা পাথর রিসোর্ট চালুর ফলে এবার থাকার সুবিধাও পাবেন পর্যটকরা। রিসোর্টের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের পাশে হওয়ায় আমাদের এখানে অনেক পর্যটক কক্ষ বুকিং দিচ্ছেন। আমারও তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ’ তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আরো অনেকে যোগাযোগ করছেন। ’

এবারের ঈদে পর্যটকদের উপস্থিতি ব্যবসায়ীদের গত দুই বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন সিলেট হোটেল মোটেল রেস্টহাউস মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ। 

সিলেটের রাতারগুল বন

ঈদে পর্যটকদের উপস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রশাসনও নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সিলেটের সবচেয়ে বেশি পর্যটনকেন্দ্র গোয়াইনঘাট উপজেলায়। গোয়াইনঘাট উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, জাফলং, বিছনাকান্দি ও রাতারগুল পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা করেছি। পাংতুমাই পর্যটন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টদের উপজেলায় নিয়ে এসে সভা করেছি। পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ঘুরতে পারেন, সেটা নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ’

 

Link copied!