স্বস্তির ঈদযাত্রার পর প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দের সময় কাটিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির পর অফিস-আদালত খুলে যাওয়ায় রাজধানীতে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। পরিবার নিয়ে গ্রামে ঈদ কাটিয়ে হাসিমুখে মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। ফাঁকা ঢাকা ফের সরগরম হতে শুরু করেছে। সরকারী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় রেল, সড়ক ও নৌপথে মানুষের নিরাপদ যাত্রায় ছিল না কোন ভোগান্তি। পথের ক্লান্তি না থাকায় মানুষ যতটুকু সময় পেয়েছে প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
রাস্তায় নিয়ন্ত্রিত যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যাও কমেছে। সড়কে তুলনামূলক প্রাণ ঝরেছে কম। বড় ছুটি মেলায় যেভাবে মানুষ আস্তে ঢাকা ছেড়েছিল ঠিক একইভাবে প্রথম কার্যদিবসে কাজে যোগও দিয়েছেন। গাবতলী, মহাখালী, সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড, কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের টার্মিনালেও ঢাকায় আসা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। মানুষের ভিড়ে আস্তে আস্তে চিরচেনা রাজধানী তার পুরনো চেহারায় ফিরছে।
রাজধানীর টার্মিনালগুলো সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ-উল-ফিতর পালন করে ফিরে আসা যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। যাত্রীদের অনেকেই একাই চলে এসেছেন কাজে যোগ দিতে। পরিবার-পরিজনদের তারা পরবর্তীতে ভিড় কমলে ঢাকায় আনবেন। কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে, প্রতিটি ট্রেনই শতভাগ যাত্রী নিয়ে কমলাপুর পৌঁছেছে। বুধবার দুপুর থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করে নগরবাসী।
লঞ্চঘাট সুত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে লঞ্চের পাশাপাশি ফেরি কুমিল্লা, কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া, মিনি রো রো সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়া ও রো রো ফেরি এনায়েতপুরী চলাচল করছে। দুটি ডাম্প ফেরিসহ চারটি শুধু দিনেরবেলা চলাচল করছে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবারে ঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। ঈদ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১১টি রো রো ফেরি, সাতটি ইউটিলিটি ফেরি, দুটি ড্রাম ফেরি, একটি ছোট ফেরিসহ মোট ২১টি ফেরি চলাচল করছে। পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে ২১টি লঞ্চ চলছে। তবে আগামী দু’দিন ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা ঘাট সংশ্লিষ্টদের।