‘বুকে বড় ব্যথা, বিষ জ্বালা, জ্বালায়-জ্বালায় মরছে তারা’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২৫, ২০২২, ০৩:১৭ পিএম

‘বুকে বড় ব্যথা, বিষ জ্বালা, জ্বালায়-জ্বালায় মরছে তারা’

বাংলাদেশের বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মিত ও উদ্বোধন হওয়ায় সবার মুখে আনেন্দের হাসি থাকলেও বিএনপির মুখে শ্রাবণের মেঘ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পদ্মা সেতু হওয়ায় ‘মির্জা ফখরুলের মন খারাপ, বুকে বড় ব্যথা; বড় বিষ জ্বালা- জ্বালায় জ্বালায় মরছে তারা’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন শেষে সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির মুখে শ্রাবণের আকাশের মেঘ। এত ষড়যন্ত্র, এত কূটচাল, তারপরও শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করে ফেললেন। মির্জা ফখরুলের (বিএনপি মহাসচিব) মন খারাপ, বুকে বড় ব্যথা, বড় বিষের জ্বালা।”

এ পদ্মার পাড়ে কত ছেলে তার অসুস্থ মাকে নিয়ে অপেক্ষা করেছে; পরে মায়ের মৃত লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “পদ্মায় আটকা পড়ে কত ছেলে তারা বাবার জানাজায় যেতে পারেনি। অনেকে বলে, পদ্মা সেতুর জন্য এত টাকা, এত টোল, কিন্তু এ এলাকার মানুষ জানে পদ্মা সেতু তাদের কত প্রয়োজন। যারা বিষয়টি জানে না তারা পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে না।”

পদ্মা সেতুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার নাম যুক্ত করেননি তবে যত দিন এখানে চন্দ্র ও সূর্য উদয় হবে, তত দিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আপনাকে স্মরণ করবে বলেও তিনি বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে, শেখ হাসিনার মুখের দিকে চেয়ে আপনারা পৈতৃক ফসলি জমি দিয়েছেন। পদ্মার পাড়ের মানুষের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

ওবায়দুল কাদের বলেন,“ শত বাধা আসলেও প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু বানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।তিনি তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন। সেজন্য আপনারা আজ এখানে একত্রিত হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, কাঁঠালবাড়ির সভাস্থলটি ১১টি পিলারের ওপর ১০টি স্প্যানবিশিষ্ট একটি প্রতীকী অস্থায়ী পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে জমকালোভাবে সাজানো হয়। প্রতীকী সেতুর সামনে উদ্বোধনী মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। অস্থায়ী সেতুটি ২০০ ফুট লম্বা ও ৮ ফুট চওড়া। মঞ্চটি ১৫ ফুট লম্বা এবং ৪০ ফুট চওড়া। মঞ্চের সামনে একটি ৬০ ফুট লম্বা বিশালাকার নৌকা পানিতে ভাসছে। এ ছাড়া সেখানে বেশ কিছু ছোট নৌকাও রয়েছে। প্রায় ১৫ একর জায়গার ওপর ভেন্যু প্রস্তুত করা হয়।

শনিবার ভোর থেকেই খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ সভাস্থলে পৌঁছায়।

Link copied!