ই-কমার্স খাতের বৈপ্লবিক বিপ্লবের কারণে ব্যবসা বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ অনেকটা অনিয়ন্ত্রিতভাবেই ঝুকঁছে অনলাইন এবং স্বনিয়ন্ত্রিত খাতে। অ্যামাজন, ই-বেয়, আলিবাবা, ওয়ালমার্টের মত বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে ব্যবসা করে রাতারাতি ব্যবসার ধরণই বদলে দিয়েছে। এখন ঘরে বসেই ক্রেতারা পণ্যের অর্ডার দিতে পারেন। মূহুর্তেই গ্রাহকের দৌড়গোড়ায় পৌছে যায় পণ্য। এতে স্বভাবতই চাহিদা বাড়ছে পণ্য পরিবহণ মাধ্যমের।
দূর দূরান্তে পণ্য পৌছে দিতে নতুন প্রযুক্তি হিসেবে চালকবিহীন পরিবহন তৈরিতে গবেষণা ও কাজ চলছে। কে কার আগে, প্রথম চালকবিহীন গাড়িটি বিশ্বকে উপহার দেবে তা নিয়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলছে। এমন অবস্থায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চালকবিহীন গাড়ির পরীক্ষামূলক যাত্রাও সম্পন্ন করে ফেলেছে। অপেক্ষায় আছে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্যিক রপ্তানীর।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ট্রাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান টু-সিম্পল প্রতিষ্ঠানটির তৈরি চালকবিহীন ট্রাকের পরীক্ষামূলক ড্রাইভ সম্পন্ন করেছে। টু-সিম্পলের তৈরি ৭০টি চালকবিহীন ট্রাক যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইউরোপে ২০ লাখ মাইলের পথে টেস্ট ড্রাইভ সম্পন্ন করেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই ধরণের ট্রাকগুলো বাণিজ্যিকভিত্তিতে রপ্তানী করার ব্যাপারে আশাবাদি প্রতিষ্ঠানটি।
টু-সিমপলের অটোনোমাস ট্রাকের একেবারে সবশেষ পরীক্ষামূলক যাত্রা অ্যারিজোনার নোগালেস থেকে ৯৫১ মাইলের দূরত্বের ওকলাহোমা শহর পর্যন্ত। এপথ যেতে ট্রাকটি সময় নেয় ১৪ ঘন্টা, যে পথ একজন ড্রাইভারের মাধ্যমে পরিচালিত ট্রাকের লাগে ২৪ ঘন্টা। টু-সিম্পলের প্রেসিডেন্ট ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চেঙ্গ লু বলেছেন, গাড়িটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হতে কিছুটা সময় লাগবে, পরীক্ষামূলক যাত্রার সময় নিরাপত্তার জন্য গাড়িতে একজন ড্রাইভার এবং একজন প্রকৌশলী থাকেন বটে, তবে পুরোপুরো ড্রাইভারবিহীনভাবেই টাকটি চলতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি সিইও জানিয়েছেন, প্রস্তুত হওয়ার পর এই ট্রাকগুলোর প্রতিটির দাম ড্রাইভার চালিত ট্রাক থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বেশি হবে। সে হিসাবে একটি ট্রাকের দাম পড়বে ২ লাখ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার মতো। চেঙ্গ লু বলেন, দাম বেশি হওয়ার পরও একটি ড্রাইভার চালিতো ট্রাক থেকে সামগ্রিক ব্যয়ের বিবেচনায় এটি হবে অনেক সস্তা।