বেসামরিক জনগণকে নিরাপদে সরে যেতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কিছু এলাকাসহ ৬ অঞ্চলে ১২ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বেসামরিক জনেগণের জন্য মানবিক করিডর খুলতে রাশিয়া রাজধানী কিয়েভের কিছু অংশ, খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি ও মারিওপোল অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
ইউক্রেন সরকার এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় সায় দিয়েছে। এসব শহর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ‘মানবিক করিডর’ ইউক্রেনীয় সময় বুধবার ১০ টা (বাংলাদেশ সময় বিকেল ২টা) থেকে খোলা হয়েছে। এরইমধ্যে সেখান থেকে লোকজন গাড়িতে করে বেরিয়ে যেতে শুরু করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সুমি শহরের মেয়র। যুদ্ধবিরতি শেষ ও করিডর বন্ধ হবে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায়।
ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক বলেন, হামলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি অঞ্চলের বেসামরিক মানুষদের পালানোর সুযোগ দিতে ১২ ঘণ্টার জন্য একটি যুদ্ধবিরতি করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া।ওই ছয়টি অঞ্চলের কয়েক লাখ লোক লড়াইয়ের কারণে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের অভাবের মধ্যে আটকা পড়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ১৪তম দিন মঙ্গলবারও রাজধানী কিয়েভের আশপাশের শহরে ব্যাপক গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী।
ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং রাশিয়ার ১১ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
তবে ইউক্রেনের ওই দাবি উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া বলছে যুদ্ধে তাদের ৪৯৮ সৈন্য নিহত এবং ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, রুশ হামলায় এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এই সংখ্যার চেয়ে অনেকে বেশি বলে মনে করছে সংস্থাটি।