ইউক্রেন তাদের সেনা সতর্কবার্তায় বলেছে, কিয়েভ দখলের অন্তিম লড়াই শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার গোলায় আরো সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে।
ইউক্রেনের সেনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, কিয়েভের কাছে ইরপিন শহরে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়া। শুধু সেনা ছাউনি নয়, সাধারণ মানুষের বাড়িতেও বোমা মারা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। গোলার আঘাতে একই পরিবারের মা এবং দুই ছেলের মৃত্যুর কথা সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। বেসরকারি সূত্রের দাবি গোলার আঘাতে নিহতের সংখ্যা অনেক গুণ বেশি।
ইউক্রেনের সামরিক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, কিয়েভের আশপাশের সমস্ত শহর ঘিরে ধরে রাশিয়া রাজধানীর উপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। কিয়েভ আক্রমণের আখেরি লড়াইয়ে নেমেছে রাশিয়ার সেনা। কিন্তু ইউক্রেনও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। রাশিয়া যত সহজে কিয়েভ দখল করবে ভেবেছিল, বাস্তবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
যুক্তরাজ্যের সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, রাশিয়া পরিকল্পনামতো এগোতে পারেনি। তারা ভেবেছিল, অনেক আগেই কিয়েভ দখল করে ফেলবে। কিন্তু তাদের যথেষ্ট প্রতিরোধের সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়া সিরিয়ার যোদ্ধাদের এই লড়াই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। সিরিয়ান স্ট্রিট ফাইটাররা ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। যদিও রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো পক্ষই এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
গ্লোবাল নিউক্লিয়ার ওয়াচ একটি বিষয় নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। তাদের বক্তব্য, ইউক্রেনের দুইটি প্রধান পরমাণু চুল্লি এখন রাশিয়ার দখলে। এর মধ্যে চেরনোবিলের খুব কাছ দিয়ে রাশিয়া তেল সরবরাহ করছে। বেলারুশ থেকে সেই তেল নিয়ে আসা হচ্ছে। যে কোনো সময় পরমাণু চুল্লিতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে লড়াই যে আরো দীর্ঘ হবে, তা মোটামুটি স্পষ্ট। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত হামলা থামবে না। আর রাশিয়ার দাবি কোনোভাবেই মানবে না ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি ও বিবিসি