ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দখল নিতে এর আশপাশের শহরগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে রাশিয়ান সেনাবাহিনী। হামলার দশম দিনে শনিবার ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী বন্দর নগরী মারিওপোল দখলে নিতে সবচেয়ে জোরালো অভিযান চলছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর পাশপাশি আবাসিক এলাকাতেও বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভের খুব কাছে তিন দিকে অবস্থান নিয়েছেন। সেখান থেকেই একের পর এক হামলা চলছে।
এদিকে, নতুন করে হতাহতের তালিকা প্রকাশ করেনি জেলেনস্কি প্রশাসন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের দাবি, তারা সব জায়গায় তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। এক ফেসবুক পোস্টে ভোলদেমির জেলেনস্কি মন্তব্য করেন, সংখ্যায় বেশি হলেও ততোটা শক্তিশালী নয় রুশ সেনারা। হতাহতের জন্য সামরিক জোট, ন্যাটোর অসহযোগিতামূলক আচরণকে দায়ী করেন তিনি।
রুশ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করতে ইউক্রেনের আকাশসীমায় ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার জন্য জেলেনস্কি ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি ন্যাটো। ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
গতকা্ল শুক্রবার জেলেনস্কি তার ফেসবুকে জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, ন্যাটোর দেশগুলো এমন একটা বিষয় দাঁড় করিয়েছে যে ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করা হলে রাশিয়া ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে। যারা দুর্বল ও ভেতরে ভেতরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এটা তাদের নিজেদের প্রবোধ দেওয়া ছাড়া কিছু নয়। অথচ তাদের (ন্যাটোর) কাছে কিনা আমাদের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী অস্ত্র আছে।”
এর আগে, ইউক্রেনের আকাসসীমায় ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রস্তাব নাকচ করে দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি বলেন, এমনটা করা হলে গোটা ইউরোপজুড়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।