মার্চ ২৮, ২০২২, ০৮:১৪ পিএম
রুশ আগ্রাসন শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ায় এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ট অবরোধ আরোপ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে উত্তর আটলান্টিক জোট ন্যাটোর জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়ে জেলেনস্কি বলেছিলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে কারা ইউক্রেনকে সাহায্য করছে এবং কারা করছে না- এই বৈঠকে তার প্রমাণ হবে।”
চলমান যুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে যারা ইউক্রেনকে সাহায্য করছে এবং করছে না- সে বিষয়ে খোলাখুলি জানিয়েছেন জেলেনস্কি। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য্য ইকোনমিস্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে, জার্মানির ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখালেও ফ্রান্সের ব্যাপারে অসন্তোষ জানিয়েছেন ইউক্রেনিয় প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কি বলেন, “তারা (ফ্রান্স) রাশিয়াকে ভয় পায়। এটাই সত্যি। যারা প্রথমে বড় বড় কথা বলে তারাই প্রথমে ভয় পায়।“
ইউক্রেনিয় প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ একমাত্র ইউরোপীয় নেতা যিনি রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে নিয়মিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরেক সদস্য রাষ্ট্র জার্মানির বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, “তারা (জার্মানি) এখনও প্রধানত ‘অর্থনীতির কাঁচ’ দিয়ে সমস্যা দেখছে। তারা (জার্মানি) একটি ভারসাম্য রেখে চলার চেষ্টা করছে। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং তারা পরিস্থিতিকে অর্থনীতির কাঁচ দিয়ে দেখছে। তারা মাঝে-মধ্যে কিছু সাহায্য করছে।”
জেলেনস্কি আরও বলেন, “আমার মনে হয় পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা তাদের অবস্থান অদল-বদল করছে।”
তবে ইউক্রেন সংকটে ব্রিটেনের নেওয়া ভূমিকার প্রশংসা করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, “ব্রিটেন ভারসাম্য নিয়ে ভাবছে না এবং অন্যান্যদের চেয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দেশকে অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে অনেক বেশি আগ্রহী।”
তিনি বলেন, “সত্যি কথা বলতে কি জনসনই একজন নেতা যিনি সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছেন...ব্রিটেন সন্দেহাতীতভাবে আমাদের পক্ষে। তারা কোনো ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করছে না। সমস্যা সমাধানে ব্রিটেন অন্য কোনো বিকল্প ভাবছে না।” যুদ্ধে ইউক্রেন জিতুক আর রাশিয়া হেরে যাক-ব্রিটেন এটা চায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।