মার্চ ২০, ২০২২, ০১:৩৬ এএম
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবারই বলে আসছেন, রাশিয়ার সঙ্গে অর্থবহ শান্তি আলোচনার দরকার। এ জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তিনি সরাসরি বৈঠকে বসতে চান। তিনি সম্প্রতি স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা দেখা করার সময়, কথা বলার সময়।’ এরকম পরিষ্কার আহ্বানের পরও কাঙ্খিত সেই বৈঠকটি হচ্ছে না। এই বৈঠক না হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন আছে বলে মনে করছে রাশিয়া।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানে মস্কোর দাবি মেনে নিতে কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্র বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
লাভরভ বলেন, ‘বারবার মনে হচ্ছে, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের হাত বেঁধে রাখা হয়েছে। খুব সম্ভবত মার্কিনরা এটা করছে। আমাদের ন্যূনতম দাবিও মেনে নিতে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।’
শান্তি আলোচনায় বাধা দেওয়ার দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি লাভরভ। এমনটি আদৌ হয়েছে কি না, তা নিয়ে মুখ খোলেনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে অর্থবহ শান্তি আলোচনার আহ্বান জানান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসার ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এটা দেখা করার সময়, কথা বলার সময়।’
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন লাভরভ। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা যেসব ভিত্তির ওপর গড়ে উঠেছে, তার সব কটিকে যখন পশ্চিমারা চরমভাবে অবমূল্যায়ন করছে, দুটি পরাশক্তি হিসেবে অবশ্যই আমাদের চিন্তাভাবনা করা উচিত, বিশ্বকে কীভাবে এগিয়ে নেব।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশির ভাগ দেশ কিয়েভের পক্ষে দাঁড়ায়। তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি চীন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার অভিযান বন্ধের প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল দেশটি। এমনকি ইউক্রেনে হামলার নিন্দাও জানায়নি বেইজিং।