মে ২৪, ২০২২, ০৩:৩০ পিএম
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কেনার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আহবান জানান।
সোমবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া ভাষণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার খবরে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জেলেনস্কি তার ভাষণে ইউক্রেনের পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
আল জাজিরার কূটনৈতিক প্রতিবেদক জেমস বেইস বলেন, “তিনি (জেলেনস্কি) বলেছেন, বিশ্ব একটি টার্নিং পয়েন্টের মধ্যে রয়েছে; তিনি এটাকে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন। তীব্রভাবে তার দেশের আরও বেশি তহবিল প্রয়োজন।’
ওই ভাষণে জেলেনস্কি আরও বলেন, “রুশ আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে ‘আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’ জেলেনস্কি বলেন, এ ধরনের ঘটনা (আগ্রাসন) ঘটলে তা কেবল ঠেকানোতে সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ নয়, এটা নিশ্চিত করতে হবে যে এ ধরণের ঘটনা আর যাতে না ঘটে।
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।