অভিজিৎ হত্যাকারীদের তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার ঘোষণা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২০, ২০২১, ১০:৩৩ পিএম

অভিজিৎ হত্যাকারীদের তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার ঘোষণা

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়ের দুই হত্যাকারীর সম্পর্কে তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক টুইটে ওই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই দুই হত্যাকারী হলেন বরখাস্ত সেনা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও জঙ্গি নেতা আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান।  

+১২০২৭০২৭৮৪৩ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও সিগনালের মাধ্যমে হত্যাকারীদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, একজন লেখক, ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে অভিজিৎ রায় বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে ও বাক স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। বাংলাদেশে কারাবন্দী নাস্তিক ব্লগারদের দুর্দশার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ গড়ে তোলায় কাজ করতেন তিনি। সামাজিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদেও তিনি পরিচিত মুখ ছিলেন।

পুরস্কার ঘোষণায় এই পোস্টার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর


২০১৫ সালে ঢাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হামলায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। আনসারউল্লাহ বাংলা টিম এ হামলার দায় স্বীকার করে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, হামলাকারীরা বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন।

এর কিছু সময় পরে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) তৎকালীন নেতা আসিম উমর এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, তাদের অনুসারীরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। ওই হামলার দিনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে একই অঙ্কের পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

গত ফেব্রুয়ারিতে আলোচিত এ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সৈয়দ জিয়াউল হক, জঙ্গি নেতা আকরাম হোসেনসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন।

Link copied!