বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ৫ জনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন আসামীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, “খুবই দুঃখজনক রায়। এই রায় আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা আসামীদের চার্জশিটে দেখতে পেয়েছি, বড় ভাইদের নির্দেশে করা হয়েছে। আমরা আদালতে বলেছিলাম এখানে বড় ভাই কারা তার নাম আসে নাই। তাদেরকে তদন্তে আনা হয়নি। আরেকটি বিষয় হলো, এখানে বুয়েট কর্তৃপক্ষের অনেক ভুল ছিল। তাদের ভুল না থাকলে আজকে এই ঘটনা ঘটতো না। এই মামলায় কোন চাক্ষুস সাক্ষী নাই।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, “আপনারা জানেন বহুল আলোচিত বুয়েটের একজন শিক্ষার্থীকে কিছু শিক্ষার্থী ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। আজকে তার রায় হয়েছে এবং ৪৬ জন সাক্ষীর মাধ্যমে প্রসিকিউশন এই মামলায় প্রমাণ করতে পেরেছে ওই দিন রাতে এই ২৫ জন শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আবরারকে ক্রমাগত পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এটি প্রমাণ করতে পারায় আদালত ২৫ জনের মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসী কলঙ্কমুক্ত হতে পেরেছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে এ জন্য আদালত আজকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করেছে।”