হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে ২০,৬১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ১০২টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৮৪ জনকে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সহিংসতার পর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা বৃদ্ধি করতে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ সহায়তা, খাদ্য, কাপড়, অন্যান্য নিত্য পণ্য এবং গৃহ নির্মাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও, হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা বাড়াতে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যারা ঘর হারিয়েছেন তাদের ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। দেশের ৩৭টি জেলা ও তিনটি মহানগরীতে মোট ১১৭ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব) এবং সাদা পোশাকে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে।
এদিকে, সরকার গৃহীত পদক্ষেপ মোতাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান রংপুরের পীরগঞ্জের জেলে পল্লীর ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে ক্ষতিগ্রস্ত ৬১ পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেন। এসময় পাশাপাশি তিনি শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাবার বিতরণ করেন।
এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারের জন্য এক শ’ বান্ডেল ঢেউ টিন, ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য নগদ চার লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং এক হাজার দুইশ’ প্যাকেট খাদ্য বরাদ্দ করেছে।
উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রংপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও। ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫ পরিবারের মধ্যে নগদ ৯ লাখ টাকা এবং একশ’ বান্ডেল ঢেউ টিন বিতরণ করেছে।