রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত ইউক্রেনে ৭২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো এ তথ্য জানান।
রোজমেরি ডি কার্লোর মতে, সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে না বিধায় প্রকৃত সংখ্যা এর তুলনায় বহুগুণ বেশি হতে পারে। এছাড়া, অবরূদ্ধ মারিওপোলে গণকবর দেয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। সেখানে ঠিক কতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে তা গণনা করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ৭২৬ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ৬৩ শিশুসহ ১ হাজার ১৭৪ জন আহত হয়েছে।
হতাহতের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে দায়ী না করে ডিকার্লো বলেন, এসব হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার এই অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করা হয় জাতিসংঘের বৈঠকে। একইসাথে হত্যাযজ্ঞের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচারের মুখোমুখি করার জোরালো দাবি ওঠে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ২২ তম দিন বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী।
ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ৩১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির দুই ১৩ শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৩ হাজার ৮০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
তবে ইউক্রেনের ওই দাবি উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া বলছে যুদ্ধে তাদের ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।