সংসার ভাঙার গুঞ্জন: নীরবতা ভেঙে যা বললেন মিশেল ওবামা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম

সংসার ভাঙার গুঞ্জন: নীরবতা ভেঙে যা বললেন মিশেল ওবামা

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল কয়েক মাস ধরেই। বিষয়টি নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বা ফার্স্ট লেডি কাউকে কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজে থেকেই বিষয়টি সামনে আনেন মিশেল ওবামা।

অভিনেত্রী সোফিয়া বুশের উপস্থাপনায় ‘ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস’ অনুষ্ঠানে নিজের জীবন নিয়ে বেশ খোলামেলা আলাপ করেন তিনি।

গত জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান এবং তার আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ওবামার সঙ্গে মিশেলকে দেখা যায়নি। তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে।

পডকাস্টে সেই প্রসঙ্গ টেনে সাবেক ফার্স্ট লেডি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন সেমিনারে ভাষণ দেই, কিছু প্রকল্পের কাজও করি। তাছাড়া নারী শিক্ষা নিয়েও কাজ করছি। আমরা নারীরা আসলে এমনই। মানুষকে খুশি করতে আমরা এত ব্যস্ত যে নিজের জন্য সময় বের করা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ে। আর কোনো নারী যখন সেটি করে ফেলে, তখন মানুষ তা মোটেই নিতে পারে না। আমি যখন নিজের জন্য সময় বের করে নিজের কাজগুলো করছিলাম, তখন মানুষ ধরে নিল যে আমার আর আমার স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে!’

৩২ বছর ধরে সংসার করছেন বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা। এর মধ্যে বারাক ওবামার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও প্রেসিডেন্ট থাকার সময় হোয়াইট হাউসের জীবন তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ‘বিকামিং নামে নিজের বইতে উল্লেখ করেছেন মিশেল।

সাবেক ফার্স্ট লেডি জানান, এখন নিজের সময় কাটানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবেই নেন তিনি। অবশ্য আগে স্বাধীনতাহীন ছিলেন তা নয়, কিন্তু তখন সবাইকে খুশি করতে স্বাধীনতা উৎসর্গ করতে হতো তাকে।

মিশেল বলেন, ‘এখন যে সিদ্ধান্তগুলো আমি নিই, তা আগেও নিতে পারতাম। কিন্তু তখন নিজেকে সেই স্বাধীনতা আমি দিইনি। অকারণে সন্তানদের জীবনকে নিজের জীবনের সীমাবদ্ধতা ও অপরাগতার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছি।

দেরিতে হলেও সেই চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসেছেন জানিয়ে সাবেক ফার্স্ট লেডি বলেন, ‘এখন আমি নিজের সময়সূচি ঠিক করার ক্ষেত্রে আগে আমার পছন্দকে প্রাধান্য দিই। আমি যা বহুদিন ধরে করতে চাই, যা করলে আমার আত্মা শান্তি পায়, আমি এখন তাই করি। আমি তাই করি যা আমার জন্য ভালো, কেবল অন্যরা যা চায় তা, করা বাদ দিয়েছি।’

Link copied!