করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ১৪ দিন পিছিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া অমর একুশে বইমেলা শেষ হলো বৃহস্পতিবার। মেলা শেষের দিন বিকেল থেকেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। শুধু ভিড় নয়, ছিল বই কেনারও হিড়িক।
বই বিক্রির ব্যস্ততা ছিল প্রায় প্রত্যেকটি স্টলে। এ দিন দর্শক-ক্রেতা-পাঠকদের পদচারণায় মুখর মেলা প্রাঙ্গণ।
সরকারি ছুটি থাকায় এদিন দর্শনার্থীদের ঢল নামেছিলো মেলায়। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উভয় অঙ্গণেই ক্রেতা-দর্শকদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। নামকরা প্রকাশনা সংস্থার প্যাভিলিয়নসহ ছোট বড় সব স্টল ঘিঁরে পছন্দের বই খুঁজে ফেরে ব্যস্ত বই ক্রেতারা।
বিকেলে দোয়েল চত্বর ও টিএসসির পথ বেয়ে বহু লোক সমাগমে দেহ তল্লাস করায় হিমশিম খাচ্ছিল নিরাপত্তাকর্মীরা। বিকেল পাঁচটার দিকে সারিবদ্ধ স্টলগুলোয় ক্রেতাদের উপচে ভিঁড়ে মেলাঙ্গণে তিলধারণের ঠাঁইটুকুও ছিল না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের দিনে বইমেলা শুরু হয় বেলা ১১ টায়। শেষ হয় রাত ৯টায়।
বাংলা একাডেমির উদ্যোগে এদিন নানা অনুষ্ঠান ছিল। বিকেল ৩টায় অমর একুশের মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান।
বিকেল ৪টায় ভাষাশহীদ মুক্তমঞ্চে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া বিকেল ৫টায় একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালার সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও লেজার শো কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদাসহ অনেকে।