রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে আরও প্রায় ৬ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র দেবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তরে আয়োজিত সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন বলে রয়টার্স ও বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়।
ন্যাটো ও জি-৭ নেতাদের বৈঠকে জনসন ইউক্রেনীয় সৈন্য এবং পাইলটদের বেতন প্রদানে অর্থ সহায়তা হিসেবে ২ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের (তিন কোটি ৩০ লাখ ডলার) তহবিলও ঘোষণা করবেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
এছাড়া, বরিস সরকার বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে ওই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান ভাষার সার্ভিসকে সহায়তা করার জন্য ৪১ লাখ পাউন্ড প্রদান করবে।
ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা বাড়াতে যুক্তরাজ্য আমাদের মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবে উল্লেখ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ এই সংকটের এক মাসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে- আমরা ইউক্রেনে স্বাধীনতার শিখা জ্বালিয়ে রাখতে পারি নাকি এই শিখা নিভে যাওয়ার ঝুঁকি নেবে ইউরোপ ও বিশ্ব।”
ব্রিটেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে প্রায় ৪ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। জনসন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে মানবিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৪০ কোটি পাউন্ডের বাইরে থাকছে নতুন এই তহবিল।
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ২৯ তম দিন বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী।