সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ১০:৪১ পিএম
আনসার সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নূর হোসেনকে চিকিৎসা ব্যয় দেওয়ার কথা থাকলেও নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিকিৎসাব ব্যয় চাইতে গেলেই বলছে ’দাড়াও দিচ্ছি’। অনেক সময় ফোনও ধরে না। পরীক্ষা করার সময় তাদেরকে ফোন দিয়ে ফোনে পাওয়া যায় না। দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করার পরে টাকা পাওয়া যায়।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নূরের বন্ধু ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাসেদ হাসান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানালেন।তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যয় তারা দিচ্ছে, তবে অনেক হয়রানির মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে এটা নিতে হচ্ছে। আমরা কোন পরীক্ষা করতে গেলে ১০-১৫ বার তাদের ফোন দেয়ার পর তারা আমাদেরকে এই টাকা দিচ্ছে। তারা অহেতুক দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করাচ্ছে।’
তবে ১০ হাজার টাকা হাতে পেয়েছে বলে জানান জাবির শিক্ষার্থী নূর। তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্তব্যরত গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ এসে আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে গেছেন। আর বলেছে, আমি যেনো চিকিৎসা চালাই পরবর্তীতে তারা ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু আমার বন্ধুরা টাকা পেতে অনেক সমস্যার মুখে পড়ছে। সময়মত কোন পরীক্ষা করাতে পারছি না। ফিজিও থেরাপিও কালকে (মঙ্গলবার) বন্ধ ছিলো।
তবে নূরের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্তব্যরত গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, প্রত্যেক বিষয়ের জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। আমরা বলেছি চিকিৎসার ব্যয় দিবো এবং আমরা সেটা দিয়েও যাচ্ছি। একটু সময় লাগছে, সেই সময়টাতো আমাদের দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার(১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের মারধরে আহত জাবি শিক্ষার্থী নুর হোসেন বর্তমানে সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিছু কাপল ও দর্শনার্থীকে টাকার বিনিময়ে প্রবেশে অনুমতি দিয়েছিলেন কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা। ওইসময় এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ও ভেতরে থাকা দর্শনার্থীদের ভিডিও করতে যাওয়ায় বেদম মারধরের শিকার হন জাবির ওই শিক্ষার্থী।