চাকরি হারানো দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে চাকরি দিতে চায় ৩৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সাবেক এ কর্মকর্তা ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত এক ব্যক্তি।
শরীফকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বেসরকারি ব্যাংক, এয়ারলাইনস কোম্পানি, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, কয়েকটি পোশাক কারখানা, পোলট্রি কোম্পানি, ওষুধ কোম্পানি, সিকিউরিটি কোম্পানি ও সৌদি আরবের একটি হীরার প্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ কোম্পানি ঊর্ধ্বতন পদে নিতে চেয়েছে। এয়ারলাইনস কোম্পানি প্রধান নির্বাহী পদে এবং পোশাক কারখানা প্রতিষ্ঠানগুলো জিএম পদে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার শরীফ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ৩৫টিরও বেশি কোম্পানিতে চাকরির অফার পেয়েছি। এর মধ্যে এয়ারলাইন্স কোম্পানি, বিদেশি নিরাপত্তা কোম্পানি, হোটেল ট্যুরিজম কোম্পানিও রয়েছে। এয়ারলাইন্স কোম্পানি মাসে দুই লাখ টাকা বেতনে তাদের প্রতিষ্ঠানের সিইও পদে নিয়োগের জন্য আমাকে জয়েনিং লেটারও দিয়েছে।’
শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশি একটি ডিফেন্স কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্যও আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি যাচাই-বাছাই করে যেকোনো একটিতে যোগদান করবো।’
তবে তিনি কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম জানাতে রাজি হননি।
দীর্ঘ সময় চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন শরীফ। তিনি কক্সবাজারে ৭২টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, কিছু রোহিঙ্গার এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি মামলা করেন।
সাড়ে সাত বছরের চাকরিজীবনের প্রথম ছয় বছরই বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর) শরীফ উদ্দিনকে দুদকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ‘অতি উত্তম’ হিসেবে মূল্যায়ন করেন। তাঁকে তদন্তকাজে ‘অভিজ্ঞ’ এবং ‘উদ্যমী ও দক্ষ কর্মকর্তা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে দুদক।
গত বছরের ১৬ জুন শরীফ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির কোনো কারণ উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ। তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করেন। তবে তাঁর আবেদন কমিশনের কাছে বিবেচিত হয়নি। শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহাল চেয়ে এক আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। সেটির এখনো শুনানি হয়নি।
চাকরি হারিয়ে শরীফ উদ্দিন চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের কনফেকশনারি দোকানে চাকরি করছেন।