মালয়েশিয়ায় কর্মী হিসেবে যেতে ইচ্ছুকরা যেভাবে নিবন্ধন করবেন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৪, ২০২২, ০৪:১৯ পিএম

মালয়েশিয়ায় কর্মী হিসেবে যেতে ইচ্ছুকরা যেভাবে নিবন্ধন করবেন

কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।গতকাল সোমবার থেকে এই নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ায় আবারো বাংলাদেশে কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিবন্ধন করার কৌশলও বলে দিয়েছে বিএমইটি।

বিএমইটি'র মহাপরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় কাজে যেতে ইচ্ছুক এবং সেদেশের চাকুরীদাতা কর্তৃক বাছাই হতে হলে সব কর্মীকে বিএমইটির ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে, তেমন ব্যবস্থা এবার করা হয়েছে।

যেভাবে নিবন্ধন করা যাবে

মোহাম্মদ শহিদুল আলম জানিয়েছেন, দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় বিএমইটির ৪২টি কার্যালয় এবং ১১টি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করা যাবে।

সেক্ষেত্রে সঙ্গে করে কর্মীর পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নিজের মোবাইল নম্বর, যদি ইমেইল তাহলে সেটি, যদি কোনো দক্ষতা সনদ থাকে সেটি নিয়ে যেতে হবে।

কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করলে আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। এসব কেন্দ্রের কর্মীরা আগ্রহী শ্রমিকদের তথ্য নিবন্ধন পোর্টালে সংযুক্ত করে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন।

নিবন্ধনের পদ্ধতি ও ফি

নিবন্ধনের পদ্ধতি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএমইটির আওতাধীন সব জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও) অথবা নির্ধারিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) সরাসরি উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করা যাবে। প্রতিটি সফল নিবন্ধনের জন্য ২০০ টাকা সরকারি ফি (অফেরতযোগ্য) পরিশোধ করতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য নিকটস্থ জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও) বা টিটিসি'র সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ডাটাবেজে নিবন্ধনের জন্য ঐচ্ছিক ও অতিরিক্ত চ্যানেল হিসেবে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ‘আমি প্রবাসী' অ্যাপ ব্যবহার করে নিবন্ধন করা যাবে। এক্ষেত্রে সফল নিবন্ধনের জন্য সরকারি নিবন্ধন ফি ২০০ টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের সার্ভিস চার্জ করসহ ১০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বয়স, নিবন্ধনের কার্যকারিতা

বিএমইটি’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া যাওয়ার শর্ত হিসেবে কর্মীর বয়স ১৮-৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। নিবন্ধন নম্বর ও এর কার্যকারিতা নিবন্ধনের তারিখ থেকে ২ বছর বহাল  থাকবে। ইতোমধ্যে যারা বিদেশ গমনের জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের নতুন করে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। তবে নিবন্ধনকালে কাঙ্ক্ষিত দেশ ও পেশা নির্বাচন করা না থাকলে আপডেট করা যাবে।

কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)এবং ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি), অথবা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত দক্ষতা সনদ আপলোড করলে দক্ষ কর্মীরা বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।

যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন

পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নিজের মোবাইল নম্বর, ইমেইল (যদি থাকে), দক্ষতা সনদ (যদি থাকে)।

যেভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া

বিএমইটি থেকে রবিবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসকল কর্মীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি অথবা অন্য কোন বৈধ কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ধরনের দক্ষতার প্রশিক্ষণ রয়েছে তারা সেই প্রশিক্ষণের সনদ নিবন্ধনের সময় আপলোড করলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

গত বছর ডিসেম্বরে যখন সমঝোতা স্মারক সই হয় তখন তাতেও কিছু যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে নূন্যতম ইংরেজির জ্ঞান। মালয় ভাষার জ্ঞান বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। কিন্তু মালয় ভাষার জ্ঞান জানা না থাকলে তাকে অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। মূলত কৃষি, নির্মাণ, খনি, গৃহকর্ম, বাগান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এসব খাতে কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া।

Link copied!