জুন ১৯, ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কী কী বিষয় আলাপ করবেন তা নিয়ে বাংলাদেশের ওকালতি করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী বুধবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতার ওই বৈঠকে ভারতের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসতে পারে বলে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আনন্দবাজারসহ একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ’ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসা নীতিতে সরগরম হয়ে ওঠা বাংলাদেশের রাজনীতির বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে নরেন্দ্র মোদি খোলামেলা আলোচনা করবেন বলে ইঙ্গিত রয়েছে।
গণমাধ্যমের এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারত অত্যন্ত পরিপক্ক গণতান্ত্রিক একটি দেশ। ভারতের মাতৃত্ব অত্যন্ত পরিপক্ক এবং অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী। তারা (মোদি-বাইডেন) যেটা ভালো মনে করবেন, সেটাই আলাপ করবেন। ওখানে আমার (বাংলাদেশ) ওকালতি করার প্রয়োজন নেই।”
এসময় প্রশ্নকারী সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “ওই দেশের কে কী নিয়ে আলাপ করবে, এটা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা কেন?”
সম্প্রতি ১২ জুন ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, “অনেক আলাপ হয়েছে। আমরা সেইম লেভেলে কাজ করছি। আমি খুব খুশি। আমি খুব সন্তুষ্ট। ভারত সরকার আমাদের অত্যন্ত সম্মান দিয়েছে। জি-২০ সদস্য না, তারপরও গেস্ট নিয়ে তাদের পাশে আমাদের বসিয়েছে।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের লবিষ্ট সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কোনো লবিস্ট নেই। আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। যারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তাদের বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে দেশটাকে ধ্বংস করার তালে থাকবেন না।”
এসময় বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে ড. মোমেন বলেন, “আপনারা বরং দেশে আরও এনার্জি পাই কীভাবে, দেশে লোকের কর্মসংস্থান হয় কীভাবে, বিনিয়োগ বাড়ে কীভাবে; সেজন্য লবিস্ট নিয়োগ করেন। তাহলে দেশের মঙ্গল হবে। দেশ তো আপনার-আমার সবার। যারা অপজিশনে আছেন তাদেরও দেশটা। সুতরাং দেশকে ধ্বংস করে লাভ নেই। কারণ এটাতে সবার ক্ষতি।”