রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জমিতে সেচের পানি না পেয়ে অভিমানে বিষাক্ত কীটনাশক পান করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মারা যাওয়া কৃষক অভিনাথ মারান্ডির পর আরও এক কৃষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার রাত আটটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ(রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম রবি মারান্ডি (২৭)। তিনি অভিনাথ মারান্ডির চাচাতো বড় ভাই বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তাদের দু’জনেরই বাড়ি গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমঘুটু গ্রামে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত কৃষক রবি মারান্ডি (২৭)। ছবি: সংগৃহীত
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী মৃত্যুর বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “বিষপানে তাদের দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিনাথ মারান্ডি ও রবি মারান্ডি দুজনেই বোরো ধান চাষ করেছিলেন। কিন্তু ১২ দিন ধরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপে ঘুরলেও তারা সেচের পানি পাচ্ছিলেন না। এই ক্ষোভে গত বুধবার সন্ধ্যার আগে গভীর নলকূপের সামনেই দুজনে বিষপান করেন। এতে গ্রামেই অভিনাথের মৃত্যু হয়। আর রবিকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে।
এদিকে সেচ পাম্প অপারেটর সাখাওয়াতকে অভিযুক্ত করে গোদাগাড়ী থানায় আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলা করেছেন মৃত অভিনাথ মারান্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমব্রোম।
গোদাগাড়ী উপজেলার ঈশ্বরীপুর গভীর নলকূপ থেকে নিমঘটু গ্রামের কৃষকেরা তাঁদের জমিতে পানি নেন। ওই নলকূপের অপারেটর স্থানীয় ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন। মামলা হলেও শনিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, “অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার কোনো বিরোধ নেই।” আসামি সাখাওয়াতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তিনি জানান।