জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৩:৩৫ এএম
নিরাপত্তার স্বার্থে ৩ সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, কাউকে তুলে আনা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (২৭ জুলাই) চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “নাহিদ ইসলামসহ কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উন্নতি হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলন, “তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হলেই কেবল তুলে নেওয়া হবে কারফিউ। সেজন্য দেশবাসীকে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কারফিউ শিথিলের সময় আরও বাড়বে কিনা জানা যাবে আজ।”
এর আগে, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র অন্যতম দুই সমন্বয়ককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই দুই সমন্বয়ক হলেন- নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান প্ল্যাটফর্মটির আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, “নাহিদের এক আত্মীয় হাসপাতাল থেকে আমাকে ফোনে জানিয়েছেন যে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নাহিদ ও আসিফকে হাসপাতাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়।”
এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত হতে সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেনকে ফোনে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দ্য ডেইলি স্টার।
এর আগে, গত ২০ জুলাই ভোরে রাজধানীর সবুজবাগের একটি বাসা থেকে নাহিদ ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বাম উরু ও কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা ও গভীর ক্ষতসহ রোববার তাকে পাওয়া যায়।
আগের দিন ১৯ জুলাই আসিফ মাহমুদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপহরণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। পাঁচদিন পর তাকে পাওয়া যায়। এরপর থেকে তারা দুজনই একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে, ২৫ জুলাই বিকেল থেকে হাসপাতালে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়। তাদের কেবিনের সামনে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের পাহারা দিতে দেখা যায়। নাহিদ ও আসিফের সঙ্গে সাংবাদিকসহ কাউকে দেখা করতে না দেওয়ার কথাও জানা গেছে।