সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশ যেন বিশ্বকে একের পর এক চমক দেখিয়েই যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে আপন লক্ষ্যে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’ (জিএফপি) প্রতি বছরই ১৪৫টির বেশি দেশের সহজলভ্য সামরিক সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাজেট, সৈন্য সংখ্যা এবং নানা ধরনের প্রায় ৬০টির বেশি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করে থাকে।
সম্প্রতি ‘২০২৪ মিলিটারি স্ট্রেন্থ র্যাংকিং’ নামে প্রকাশিত এই সূচকে সামরিক শক্তিমত্তা বিচারে দেশগুলোর স্কোরও নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ৩ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান এখন ৩৭তম। ২০২৩ সালের শুরুতে প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪০তম। সামরিক শক্তিসূচকে বাংলাদেশ স্কোর পেয়েছে শূন্য দশমিক ৫৪১৯। গত বছর বাংলাদেশের এই স্কোর ছিল শূন্য দশমিক ৫৮৭১।
প্রতিষ্ঠানটির মতে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে বর্তমানে সক্রিয় সৈন্য রয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার। সেনাবাহিনীতে ট্যাংক ৩২০টি এবং সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি। মাল্টিপল লঞ্চ রকেট প্রোজেক্টর (এমএলআরএস) যান আছে ৭১টি। বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে সক্রিয় সদস্য আছেন ২৫ হাজার ১০০ জন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ১৭ হাজার ৪০০ জন।
এই তালিকায় শীর্ষে অর্থাৎ তালিকা মতে বিশ্বের সর্বাধিক সামরিক শক্তিধর দেশ হিসেবে সামরিক শক্তিসূচকে শূন্য দশমিক ৬৯৯ সূচক নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ৭০২ সূচক। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ৭০৬ সূচক। সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে ভুটান। দেশটির স্কোর ৬ দশমিক ৩৭০৪।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে ভারত। সর্বশেষ তালিকায় ভারতের অবস্থান চতুর্থ। এরপর নবম সামরিক শক্তিধর হিসেবে পাকিস্তান সপ্তম অবস্থান দখল করেছে। যদিও ভারত ও পাকিস্তান প্রতিবেশী এই দুইটি রাষ্ট্রের মাঝে প্রতিনিয়ত সামরিক উত্তেজনা বজায় থাকে। তবুও এ তালিকা অনুসারে ভারত থেকে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে রয়েছে দেশটি।
দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে চতুর্দশ অবস্থানে রয়েছে ইরান। আর দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ দেশ বাংলাদেশ।
এছাড়াও এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ষষ্ঠ (স্কোর: ০.১৪৪৩), জাপান সপ্তম (স্কোর: ০.১৬০১), ইউক্রেন ১৮তম (স্কোর: ০.২৫৯৮) এবং মায়ানমার ৩৫তম (স্কোর: ০.৫২৫১)।