গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হলো বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদক

আগস্ট ২৯, ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হলো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্য দিয়ে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত ১৫ বছরে গুমবিরোধী সনদে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার তাগিদ থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার তা এড়িয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে  আগামীকাল ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী দিবসের আগেই এই সনদে যুক্ত হলো বাংলাদেশ। গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সই করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক নয়টি সনদের সবগুলোতেই সই করল বাংলাদেশ। জাতিসংঘের গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষরের পর প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাক্ষরিত ওই সনদে বলা হয়, ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে বলপ্রয়োগকৃত নিখোঁজ থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন গৃহীত হয়েছিল। সেজন্য আমি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করছি যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কনভেনশনটি বিবেচনা করে ও এর মধ্যে থাকা শর্তাবলী পালনে বিশ্বস্ততার সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ নিয়ে গত কয়েক বছরে বেশ সমালোচনা করে গেছে। কিন্তু যারা ক্ষমতায় ছিলেন সেই অর্থে মানবাধিকার বিষয়ে খুব একটা গুরুত্ব দেননি।

২০০৬ সালেরর ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গুমবিরোধী এই সনদ গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষরের পরে ২০১০ সালে এর বাস্তবায়ন শুরু হয়। সামগ্রিকভাবে এই সনদের লক্ষ্য গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া।

প্রসঙ্গত, বিগত ১৬ বছরে র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কতগুলো গুমের ঘটনা ঘটেছে তার তদন্তে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিশন গঠন করেছে সরকার। গত ২৭ আগস্ট ‘কমিশন অব ইনক্যুয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’র ক্ষমতাবলে এই কমিশন গঠন করা হয় এবং একই দিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

‘কমিশন অব ইনক্যুয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুসারে কমিশন তদন্ত কার্য সম্পন্ন করে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

Link copied!