অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
নির্বাচনের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আজ-কালের মধ্যেই সার্চ কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি হয়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সই হওয়ার পর আজ অথবা আগামীকালের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে।
তবে নির্বাচন দিতে কত সময় লাগবে, তা অনেকগুলো ‘ফ্যাক্টর’–এর ওপর নির্ভর করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সার্চ কমিটি কতজন সদস্য থাকবেন তা আইন অনুযায়ী হবে বলে জানান এই উপদেষ্টা। বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলোই ছিল ভুয়া। তাই ভোটার তালিকা নিয়ে তেমন কথা হয়নি।
‘এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুন্দর নির্বাচন দেবে,’ যোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের ব্রিফ করার আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের সঙ্গে বৈঠক করেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জাতিসংঘ তাদের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে। ফলকার টুর্ক সরকারের সংস্কার কাজেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি দুটি প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। এক. বিচার বিভাগ স্বাধীন করা। দুই. মৃত্যুদণ্ড রহিত করা।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে টুর্ক বেশি প্রশ্ন করেছেন। তিনি মৃত্যুদণ্ড রহিত করার কথা বলেছেন এবং এটা রহিত করার সুযোগ আছে কিনা জানতে চেয়েছেন।
‘আমরা বলেছি, বর্তমান বাস্তবতায় মৃত্যুদণ্ড রহিতের সুযোগ নেই। পেনাল কোডে (দণ্ডবিধি) মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা আছে। হুট করে এটা পরিবর্তনের সুযোগ নেই,’ বলেন আসিফ নজরুল।
তিনি আরও বলেন, ‘যে ফ্যাসিস্ট সরকার হাজার হাজার শিক্ষার্থী মেরেছে, তাদের বিচারকে সামনে রেখে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। এটা প্রত্যাশা করার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: ১১ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা—এই প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, একটা রাজনৈতিক দল হাজার মানুষ হত্যা করে, হাজার হাজার মানুষকে অঙ্গহানি করে। এখনো তাদের নেত্রী দেশের বাইরে বসে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কথা বলেন, অন্য দেশে বসে ২৮৭ জনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তিনি একজন গণহত্যা মামলার আসামি। তাঁদের বিচারের আগে নির্বাচনে আসা মানুষ মেনে নেবে বলে আমার মনে হয় না।
‘আপনারা বিবেচনা করে দেখেন, এমন গণহত্যা চালানোর পরও তিনি দেখে নেওয়ার কথা বলেন, আমাদের নেতাদের কিশোর গ্যাং বলেন। এ দলের রাজনৈতিক অধিকার থাকা উচিত কিনা, তা দেশের মানুষ বিবেচনা করবে,’ যোগ করেন তিনি।