ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ ক্ষতিগ্রস্ত ১৯ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এসব উপজেলা জলোচ্ছ্বাস, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পানিবন্দী অবস্থায় আছে বলে উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৭ মে) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ইসি জানিয়েছিল, এসব উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা স্থগিত করা হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করতে মাঠ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুতি নিয়েছেন। এর মধ্যেই গতকাল সন্ধ্যায় থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হেনেছে। ফলে কোথাও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও ৯ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা হয়। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এসব নির্বাচনী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ, বেড়িবাঁধ ভেঙেছে, কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে গেছে ও কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের (ইসি) কাছে থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে নির্বাচন কমিশন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বরিশাল জেলার গৌরনদী, আগুনঝারা, পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, কাঁঠালিয়া, বরগুনা জেলার বামনা, পাথরঘাটা ও রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাচন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।”
ইসি সচিব বলেন, “মোট ১৯ উপজেলার ভোট আপাতত স্থগিত হয়েছে। এসব উপজেলার ভোট স্থগিতের ফলে আগামী ২৯ মে ৯০ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ১৯ উপজেলায় এখনও পানি জমে আছে। যার ফলে স্থানীয় প্রশাসন এসব এলাকার ভোট পিছিয়ে দিতে অনুরোধ করেছে।”