গুমসংক্রান্ত অভিযোগ যাচাই করে সরকার গঠিত কমিশন জানিয়েছে, গুমের বেশি এসেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা র্যাবের বিরুদ্ধে।
কমিশনের কাছে গত দেড়মাসে এক হাজার ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হয়েছে ৩৮৩টি অভিযোগ যাচাই করেছে। এর মধ্যে ১৭২টি অভিযোগই এসেছে এলিপ ফোর্স র্যাবের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে গুমসংক্রান্ত কমিশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য তুলে ধরেন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, এসব অভিযোগ তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ডাকতে ‘সমন জারি’ করা হচ্ছে। আমরা আপাতত সমন করেছি সাতজনকে। এরা সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ডিজিএফআইর সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে যাচাই করা ৩৮৩টি অভিযোগের মধ্যে- র্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২টি, ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে ৩৭টি, ডিবির বিরুদ্ধে ৫৫টি, ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ২৬টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং অন্যান্যভাবে ৬৮টি গুমের অভিযোগ এসেছে।
বিচারপতি মঈনুল বলেন, অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে এসব বাহিনীর আটটি গোপন বন্দিশালা পেয়েছে কমিশন, যেখানে বছরের পর বছর গুম হওয়া ব্যক্তিদের রেখে নির্যাতন করা হতো।
“২০১৬ সালের দিকেই গ্রেপ্তারের সময় কী কী করতে হবে, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল। কিন্তু ধারণা করা যায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই নির্দেশনাগুলোর লঙ্ঘন করে এসেছে,” বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এখন থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে ঢাবির অনুমতি লাগবে : প্রক্টর
গুমের কারণ সম্পর্কে কমিশন প্রধান আরও বলেন, “কিছু লোক আছে অ্যাপারেন্টলি পলিটিক্যাল আইডেন্টিটি ছিল না। কিছু আছে সরকারের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মিডিয়াতে। আবার সেনাবাহিনীর যাদের গুম করা হয়েছে, তাদের কেন করা হয়েছে তা বোঝা গেল না। যেমন কর্নেল হাসিনকে দুইবার গুম করা হয়। একবার করা হয় তিনি চাকরিরত অবস্থায়, আরেকবার রিটায়ারমেন্টের পর। কী কারণে ওনাকে করল- ওটা বোঝা বড় মুশকিল।”