মাত্র ৩৫ দিনের মধ্যে তৃতীয়বার বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট। দ্বিতীয় দফার বন্যায় ৭ লাখেরও বেশি মানুষ এখনও পানিবন্দী। এরই মধ্যে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেটের তিনটি উপজেলায়। বেড়েছে সুরমা-কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি।
বন্যার ফলে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, দোকানপাট প্লাবিত হয়েছে। বাজার তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকেছে।
ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ১৫৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার। বিকেলের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট জেলা (পাউবো) জানায়, অতিবৃষ্টিতে সিলেটের নদ-নদীগুলোর চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে।
গত ২৭ মে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সিলেটে। দুই সপ্তাহব্যাপী স্থায়ী এই বন্যায় ১০ লাখেরও বেশি লোক পানিবন্দী ছিলেন। প্রথম বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ১৫ জুন থেকে সিলেটে আবারও বন্যা দেখা দেয়। ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন ভোররাত থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিভারী বৃষ্টিতে মহানগরসহ সিলেটের সব উপজেলায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। পরবর্তী এক সপ্তাহ সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল।
দ্বিতীয় দফা বন্যা শেষের আগেই সোমবার থেকে সিলেটে ধাক্কা দেয় তৃতীয় দফা বন্যা। এই দফায় সিলেট মহানগরে নতুন করে বন্যা দেখা না দিলেও সদরের ৩৫টি গ্রামে আবারও বন্যা দেখা দেয়। বাকি ১২টি উপজেলায় ১ হাজার ৮১টি গ্রামের ৭ লাখ ৩৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন এখনও।