মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারাদেশে লকডাউন জারি করেছে সরকার। এই লকডাউনের ফলে সমাজের দরিদ্র লোকেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।এমন ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবার ও হতদরিদ্র গোষ্ঠীর প্রত্যেককে ২৫০০ টাকা করে দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। ঈদের আগে মোবাইলের মাধ্যমে সুবিধাভোগী পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে এ অর্থ পৌঁছে দেওয়া হবে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও তিনটি প্রণোদনা প্যাকেজ খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে। এর আগে গত বছরের মে মাসে সারাদেশের ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে আড়াই হাজার টাকার নগদ আর্থিক সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত বছর মে মাসে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারকে এ ধরনের সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছিল। দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় ওয়েব চলছে। করোনার সংক্রমণ রোধে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে তা বাড়িয়ে ১৪ দিন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, লকডাউনে সবকিছু বন্ধ রয়েছে। সমাজের দরিদ্র মানুষের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এই মানুষদের কিছু সাশ্রয় দিতে গতবারের মতো এবার আড়াই হাজার করে নগদ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গতবার যারা এই সহায়তা পেয়েছে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তারা এবারো এই সহায়তা পাবেন। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা ৩৫ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হবে।
এই আর্থিক সহায়তা পাবেন রিকশাচালক, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষ।
জানা গেছে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে বিকাশ, রকেট, নগদের মাধ্যমে এই অর্থ পৌঁছে দেওয়া হবে। টাকা পৌঁছানোর জন্য এমএফএসগুলো প্রতি হাজারে ৬ টাকা পাবে। এ টাকা সরকার বহন করবে। অর্থাৎ সুবিধাভোগীদের হাতে ২৫০০ টাকা পৌঁছবে।