গুলিস্তান বিস্ফোরণ: রাতের জন্য উদ্ধার অভিযান স্থগিত, নিহত ১৮ ছাড়িয়েছে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ৮, ২০২৩, ০৭:৪৯ এএম

গুলিস্তান বিস্ফোরণ: রাতের জন্য উদ্ধার অভিযান স্থগিত, নিহত ১৮ ছাড়িয়েছে

রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে সিদ্দিকবাজারে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশংকা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে রাত পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। হাসপাতাল সূত্রে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

নিহতরা হলেন— ইসলামপুরের মমিনুল ইসলাম (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী নদী বেগম (৩৫), সুড়িটোলার বাসিন্দা কাতারপ্রবাসী মো. সুমন (২১), চিটাগাং রোডের বাসিন্দা মাইনুদ্দিন আখন্দ (৪৮), আলুবাজার এলাকার মো. ইসমাইল (৪২), বরিশালের ইসহাক মৃধা (৩৫), কেরানীগঞ্জের রাহাত (১৮), চাঁদপুরের মতলবের আল আমিন (২৩), বংশালের নাজমুল হোসেন (২৫), মানিকগঞ্জের ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫) ও মুন্সিগঞ্জের আবু জাফর সিদ্দিকি (৩৪) এবং মনসুর হোসেন (৪০), আকৃতি বেগম (৭০), ইদ্রিস মীর (৬০), হৃদয় (২০) ও নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (৫৫)।

বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত আরও ১০০ জন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় বিধ্বস্ত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রাতে আর উদ্ধারকাজের জন্য ভেতরে ঢুকতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, ভবনের কলাম ধসে পড়ায় ভেতরে ঢোকা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কলাম সরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করা হলে তাতে ভবনের বাকি অংশটুকু ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে এই ঝুঁকি কমিয়ে বুধবার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করা হবে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। যদিও বিধ্বস্ত ভবনে আরও দুজন আটকা পড়ে আছেন বলে দাবি করেছেন স্বজনেরা। 

সরকারি সহায়তা

বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ১৩ জনের মরদেহ পরিবারের লোকজনের কাছে রাতেই হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা, গুরুতর আহতদের ২৫ হাজার টাকা এবং তুলনামূলক কম আহতের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ঢাকার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, খাদ্য সহায়তা থেকে শুরু করে স্বজনদেরও সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ঢামেক জরুরি বিভাগের সামনে একটি বুথ খুলেছে জেলা প্রশাসন।

বিস্ফোরণের কারণ

পুলিশ বলছে, বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখতে তারা গোয়েন্দা নামিয়েছে। কোনো নাশকতা কিনা, তদন্তের পর বলা যাবে। ভবনটিতে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

তবে বিস্ফোরণকে সন্দেহের চোখে দেখছে র‌্যাব। ওই বিস্ফোরণের বিষয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন বলছেন, সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। ঘটনার দিন আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে ভবন বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

Link copied!