বেটা
মে ২৭, ২০২৩, ০২:৫০ পিএম
মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের দেওয়া আশ্বাসে সন্তুষ্ট হতে পারেননি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। সম্ভাব্য প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে তিন ঘণ্টা বৈঠক শেষে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে রোহিঙ্গারা তাদের অসন্তুষ্টের কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে কক্সবাজার জেলার টেকনাফের জাদিমুরা শালবাগান ক্যাম্পে দুই শতাধিক রোহিঙ্গার সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠক শেষে পৌরসভা জালিয়াপাড়ায় টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে ট্রলারে ১৪ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দলটি নিজ দেশে ফিরে যায়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে আসে প্রতিনিধি দলটি। এসময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজাসহ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে মিয়ানমারের দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির মিনিস্ট্রি অব সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের দুই সদস্যও বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার) মোহাম্মদ মইনুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। কারণ, এটিই একমাত্র স্থায়ী সমাধান। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পাঠাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমারের দলটি এসেছে। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা আরও জানান, রোহিঙ্গাদের দাবিগুলো এই মুহূর্তেই সব পূরণ করা না গেলেও ভবিষ্যতে পূরণ করা হবে বলে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের প্রধান তাদের আশ্বস্ত করেছেন। যেসব রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করা হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, রোহিঙ্গারা প্রতিনিধি দলের আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন উল্লেখ করে বৈঠকে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান। তবে নিজ দেশ মিয়ানমারের নাগরিকত্ব, ভিটেমাটি ফেরতসহ দেশটির অন্য জনগোষ্ঠীদের মতো চলাচলের স্বাধীনতা দিতে হবে।
এসব রোহিঙ্গা আরও জানান, এনবিসি কার্ড দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কথা বলেছেন দেশটির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তবে এভাবে আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি না।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
