বঙ্গমাতা দেশ ও জনগণের জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৭, ২০২২, ০৬:১২ পিএম

বঙ্গমাতা দেশ ও জনগণের জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

 

দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন  জানিয়ে এই মহীয়সী নারীর জীবনাদর্শ থেকে নারীরা শিক্ষা নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গমাতা: এ প্যারাগন অব উইমেন লিডারশিপ অ্যান্ড ন্যাশন-বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আরও পড়তে পারেন-বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে ঢাবির অবদান: প্রধানমন্ত্রী

 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন  থেকে ভার্চ্যুয়ালি ওই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি মনে করি আমাদের দেশের মেয়েরা শুধু নয়, পৃথিবীর অনেক মেয়েরাই তাঁর জীবনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারবে।”

বঙ্গমাতার সাদাসিধে জীবন-যাপনের উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মা’র জীবনে কোনও চাওয়া-পাওয়া ছিল না। তিনি নিজের জন্য কোনোদিন কিছু চাননি। আমরা শুনিনি তিনি কোনও আবদার করেছেন। তাঁর নিজের যেটুকু ছিল সবই তিনি বিলিয়ে দিতেন। দলের জন্য, মানুষের জন্য। গরিব আত্মীয় পরিবার-পরিজনের জন্য।’

দেশ ও স্বাধীনতার জন্য আমার বাবার যে সংগ্রাম; সেই সংগ্রামের সারথি ছিলেন আমার মা-উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “ সবসময় আমার মা সাহস যুগিয়েছেন। তবে দেশ ও মানুষের জন্য আমার মায়ের যে আত্মত্যাগ, তা খুব কমই উঠে এসেছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্দোলন সংগ্রামের জন্য বাবা বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকলেও কখনই বিরক্ত করতেন না। মা বলতেন, আমি দেখবো তুমি চিন্তা করো না। সংসার সামলানোর পাশাপাশি জাতির পিতার অনেক সময়োচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও বঙ্গমাতার পরামর্শ নিতেন। এতে আন্দোলন-সংগ্রামে গতির সঞ্চার করেছিল।”

৬ দফা ঘোষণার পর জাতির পিতা কারাগারে গেলে দাবি ৮ দফা করার জন্যও দলের ভেতরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু তার মা ৬ দফাতেই অটল ছিলেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথা সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।

 

Link copied!